ETV Bharat / state

Left Front Agitation: পার্থ 'ঘনিষ্ঠ' মোনালিসার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বামফ্রন্টের বিক্ষোভ - এই অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে

টেট কেলেঙ্কারি, কোটি কোটি টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী-সহ তার বান্ধবী অর্পিতা। আর এই ইস্যুতে দিকে দিকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার নামও উঠে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় 'ঘনিষ্ঠ' হিসেবে। আর তাই এবার জেলা বামফ্রন্টের ডাকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও অভিযান চলল (Left Front Agitation on SSC Recruitment Scam)।

Left Front Agitation
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বামফ্রন্টের বিক্ষোভ
author img

By

Published : Jul 28, 2022, 6:02 PM IST

আসানসোল, 28 জুলাই: পার্থ 'ঘনিষ্ঠ' অধ্যাপিকার ইস্যুতে কেএনইউ ঘেরাও অভিযানে মীনাক্ষী-সহ জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ৷ আর এই অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে (Left Front Agitation on SSC Recruitment Scam)। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের যুব সংগঠনের রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়-সহ জেলার নেতারা।

বৃহস্পতিবার দোমোহানি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে জেলা বামফ্রন্ট। জেলা থেকে রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্বকেই চোর আখ্যা দিয়ে মিছিল জুড়ে স্লোগান ওঠে। এরপর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। মূল ফটক ছিল তালা দেওয়া। সিপিআইএমের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে।

জেলা বামফ্রন্টের ডাকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও অভিযান চলল

আরও পড়ুন: 'আমাদের দল খুব কঠোর', পার্থর অপসারণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে স্লোগান, বক্তৃতা। তারপর পাঁচজন প্রতিনিধি ভিতরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "একটা বড় চক্রান্ত চলছে এবং সেই চক্রান্তের শুধুমাত্র একটা সুতো বা খেই ধরা হয়েছে। সেই খেই ধরে গোটা সরকারটা ধরা পড়বে। এদের টিকি যে দিল্লিতে বাধা আছে তা পরিষ্কারভাবে সাধারণ মানুষের কাছে উঠে আসবে।

আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকটি বিষয়ে দাবি জানিয়েছি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাঁদের যোগ্যতার মাপকাঠি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে। ছুটিতে রয়েছেন মোনালিসা ম্যাডাম। কী করে একজন অধ্যাপিকা এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় না এসে থাকতে পারেন? কীসের ভিত্তিতে? সেটা আমরা জানতে চেয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের রয়েছে। যদি প্রথম পর্বের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি আমাদেরকে দিতে পারেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আর যদি ওঁরা উত্তর না দেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে চোরের রাজত্ব বানাতে আমরা দেব না।"

আরও পড়ুন: পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরালেন মমতা

যদিও বাম নেতৃত্ব ভিতরে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউই মুখ খোলেননি বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি এ বিষয়ে জানান, ওদের মুখে লিকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, জেলা বামফ্রন্টের নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পাপড়ি দে, মাহেশ্বর মালো, চৈতালী দত্তের নামেও অভিযোগ করেছি। আমরা ইউজিসির হস্তক্ষেপ দাবি করছি।" আন্দোলনের শেষ নয়, বরং শুরু বলেই দাবি জেলা বামফ্রন্টের। লাগাতার এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি বাম নেতৃত্বের।

আসানসোল, 28 জুলাই: পার্থ 'ঘনিষ্ঠ' অধ্যাপিকার ইস্যুতে কেএনইউ ঘেরাও অভিযানে মীনাক্ষী-সহ জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ৷ আর এই অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে (Left Front Agitation on SSC Recruitment Scam)। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের যুব সংগঠনের রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়-সহ জেলার নেতারা।

বৃহস্পতিবার দোমোহানি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে জেলা বামফ্রন্ট। জেলা থেকে রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্বকেই চোর আখ্যা দিয়ে মিছিল জুড়ে স্লোগান ওঠে। এরপর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। মূল ফটক ছিল তালা দেওয়া। সিপিআইএমের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে।

জেলা বামফ্রন্টের ডাকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও অভিযান চলল

আরও পড়ুন: 'আমাদের দল খুব কঠোর', পার্থর অপসারণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে স্লোগান, বক্তৃতা। তারপর পাঁচজন প্রতিনিধি ভিতরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "একটা বড় চক্রান্ত চলছে এবং সেই চক্রান্তের শুধুমাত্র একটা সুতো বা খেই ধরা হয়েছে। সেই খেই ধরে গোটা সরকারটা ধরা পড়বে। এদের টিকি যে দিল্লিতে বাধা আছে তা পরিষ্কারভাবে সাধারণ মানুষের কাছে উঠে আসবে।

আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকটি বিষয়ে দাবি জানিয়েছি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাঁদের যোগ্যতার মাপকাঠি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে। ছুটিতে রয়েছেন মোনালিসা ম্যাডাম। কী করে একজন অধ্যাপিকা এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় না এসে থাকতে পারেন? কীসের ভিত্তিতে? সেটা আমরা জানতে চেয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের রয়েছে। যদি প্রথম পর্বের এই প্রশ্নের উত্তরগুলি আমাদেরকে দিতে পারেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আর যদি ওঁরা উত্তর না দেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে চোরের রাজত্ব বানাতে আমরা দেব না।"

আরও পড়ুন: পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরালেন মমতা

যদিও বাম নেতৃত্ব ভিতরে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউই মুখ খোলেননি বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি এ বিষয়ে জানান, ওদের মুখে লিকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, জেলা বামফ্রন্টের নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পাপড়ি দে, মাহেশ্বর মালো, চৈতালী দত্তের নামেও অভিযোগ করেছি। আমরা ইউজিসির হস্তক্ষেপ দাবি করছি।" আন্দোলনের শেষ নয়, বরং শুরু বলেই দাবি জেলা বামফ্রন্টের। লাগাতার এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি বাম নেতৃত্বের।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.