দুর্গাপুর, 18 এপ্রিল: চড়ছে পারদ, বাড়ছে দাবদাহ । দক্ষিণবঙ্গে জারি হয়েছে কমলা সর্তকতা ৷ তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি প্রাণীকুলের ৷ গরমের হাত থেকে বাঁচতে সুযোগ পেলেই গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে মানুষ ৷ ব্যতিক্তম নয় পশু-পাখিও ৷ প্রবল গরমে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত ৷ গরম থেকে বাঁচতে অত্যধিক জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তৃণভোজী প্রাণীদের সুস্থ রাখতে সবুজ পাতা জাতীয় খাবার ও পাখীদের সুস্থ রাখতে বেশি করে রসালো ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পশু চিকিৎসকরা ৷
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কাঁকসার দেউল। এখানে রয়েছে প্রায় একশো হরিণ এবং কয়েকশো ময়ূর। দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে হরিণদের দেখা যাচ্ছে গাছের তলায় আশ্রয় নিতে। মঙ্গলবার এই পর্যটন কেন্দ্রে ঢুঁ মারতেই দেখা গেল গাছের ছায়ায় প্রাণীদের বিশ্রামের ছবি ৷ ক্লান্ত ময়ূর শুয়ে আছ জঙ্গলের মাঝে ৷
হরিণদের এবং ময়ূরের সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বনদফতর । দুর্গাপুর বন বিভাগের বনকর্মীরা এই সমস্ত অবলাদের প্রতি সচেতন ৷ সংরক্ষিত রিজার্ভে এবং জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে চৌবাচ্চায় রাখা হয়েছে ওআরএস ৷ খাওয়ানো হচ্ছে টাটকা শাকসবজি । বন দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কোনও ময়ূর অসুস্থ হয়নি । তবে তীব্র দাবদহে যদি কোনও হরিণ, ময়ূর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে দ্রুত শুশ্রূষা করারও ব্যবস্থা রয়েছে বনদফতরের পক্ষ থেকে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন দুর্গাপুর রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ বন্দোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোক এড়াতে চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের স্নানের বিশেষ ব্যবস্থা, ডায়েটে রসালো ফল
শুধুমাত্র ওআরএস মেশানো জল নয়, পাশাপাশি তরমুজ-সহ বিভিন্ন ফল খেতে দেওয়া হচ্ছে কাঁকসা জঙ্গলের ময়ূর, হরিণ-সহ অন্যান্য জীবজন্তুদের। রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কাঁকাসার জঙ্গলে যে ওয়াচ টাওয়ার আছে সেখান থেকেই সমস্ত প্রাণীদের উপর নজর রাখছেন বনকর্মীরা ৷ অসুস্থার বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখা গেলেই যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সে ব্যাপারেও নজর রাখা হচ্ছে ৷