অণ্ডাল, 21 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় ৷ এবার তৃণমূলের জয়ী আসনে পদ বিক্রির অভিযোগ উঠল আসানসোল মহকুমাতে ৷ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ যথাক্রমে 30 লক্ষ ও 60 লক্ষ টাকায় বিক্রি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ আর সেই টাকার জোগান দিচ্ছে কয়লা ও বালি মাফিয়ারা ৷ আজ অণ্ডাল ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দফতর ঘেরাও অভিযানে এই অভিযোগ করেছেন তিনি ৷
এ দিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ করেছেন, ‘‘কয়লা-কাণ্ডে যারা চুনোপুঁটি তাদেরকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, কয়লা চুরি বন্ধ করতে হলে মাথাগুলোকে ধরে ঢুকিয়ে দিতে হবে জেলে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হতে হলে 60 লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েতের প্রধান হতে হলে 30 লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে ৷’’ এর পরেই তিনি অভিযোগ করেছেন, পদ কেনার জন্য এই সব টাকার জোগান দিচ্ছে কয়লা মাফিয়া ও বালি মাফিয়ারা ৷ বদলে তাদের হয়ে কাজ করতে হবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের ৷
জিতেন্দ্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এই টাকা কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়াদের কাছ থেকে নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা প্রধান হবে সবাই ৷ তার পর এরা মানুষের জন্য কাজ করবে ? নাকি ওই মাফিয়াদের কথায় কাজ করবে ?’’ তবে, এ দিন অন্ডাল বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে বিজেপিকে অনেক আগেই আটকে দেয় পুলিশ ৷ বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির একাংশ কর্মী ৷ তবে, পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে হলে 4 জনের প্রতিনিধি দল যেতে পারবে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই সরকারি জায়গা বেদখলের অভিযোগ কাঁকসায়
পুলিশের এই ঘোষণার পরেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা ৷ বিডিও দফতরের কিছুটা দূরে মাইকে ভাষণ দিতে শুরু করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ উল্লেখ্য, বিডিও-র মদতে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তার পরবর্তী সময়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোট লুঠ, গণনায় কারচুপি ও সন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্য বিজেপি ৷ তারই প্রতিবাদে গত বুধবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের সব বিডিও দফতর ঘেরাও অভিযানের ডাক দেন ৷