রানীগঞ্জ, 20 মার্চ: কোরোনা আতঙ্কে বাড়ি থেকেই বেরোতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ ৷ এই অবস্থায় শখের ভ্রমণ নৈব নৈব চ ৷ আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে ভ্রমণ ব্যবসায়ীদের ৷ পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জ ও জামুরিয়ার দু' নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই ভ্রমণ জন্য রয়েছে একাধিক বুকিং সেন্টার । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কে একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে । বর্তমানে বুকিং সেন্টারগুলি একেবারে ফাঁকা । সার সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ট্রাভেল এজেন্সির গাড়িগুলি ৷ প্রায় বন্ধের মুখে ভ্রমণ ব্যবসা ৷ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রানীগঞ্জ এবং জামুরিয়ার ভ্রমণ ব্যবসায়ীরা ।
এই বিষয়ে ভ্রমণ ব্যবসায়ী জিতেন মন্ডল বলেন, "আমাদের ব্যবসা পুরোপুরি ক্ষতির মুখে । উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারতের সমস্ত বুকিং বাতিল হয়েছে । পারমিট থাকা সত্ত্বেও বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না । কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বেড়াতে যেতে চাইছেনা । কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক পুরোপুরি গ্রাস করেছে ভ্রমণ ব্যবসাকে ।" ক্ষতির খতিয়ান দিতে গিয়ে ওই ব্যবসায়ী বলেন, "ড্রাইভার থেকে শুরু করে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচা নিজের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে । গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে তবু চালককে মাসের শেষে বেতন দিতে হচ্ছে ।"
অন্য এক ভ্রমণ ব্যবসায়ী আশিষ রায়ের কথায়,"15 তারিখের পর থেকে ভ্রমণের জন্য একটাও গাড়ি যায়নি । এই সময় পুরী, দক্ষিণ ভারত ও উত্তর ভারত ভ্রমণের জন্য যায় সাধারণ মানুষ । একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে । প্রত্যেকদিনই সকাল থেকে ভ্রমণের বুকিং সেন্টারগুলি ফাঁকা । কোরোনা ভাইরাসের জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ ব্যবসাতে । কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক যদি একমাস পর ঠিকও হয়ে যায় তাতেও ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয় ।"