ETV Bharat / state

Husband Gets Life Sentence: স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা সাজা! পনেরো বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর

বিয়ের পর থেকে দম্পতির মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত ৷ একদিন দুই সন্তান ও শাশুড়ির উপস্থিতিতে স্বামী বিক্রম গুপ্ত স্ত্রী সোহিনীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ মারা যান স্ত্রী ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী দোষী সাব্যস্ত হলেন ৷

Husband Murders Wife
স্ত্রীকে হত্যা স্বামীর
author img

By

Published : May 16, 2023, 5:01 PM IST

আসানসোলে স্ত্রী সোনি দেবীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামী বিক্রম গুপ্তের

আসানসোল, 16 মে: স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর ৷ আসানসোল উত্তর থানার কসাইমহল্লার বাসিন্দা বিক্রম গুপ্ত কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারে স্ত্রী সোনি দেবীকে । 2008 সালের 6 জুলাই এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সোনি দেবীর মা আশা দেবী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল বিক্রম গুপ্তকে ৷ দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর মঙ্গলবার আসানসোল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত (2)-এর বিচারক শ্রীমতি শরণ্যা সেন প্রসাদ অভিযুক্ত বিক্রম গুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, 2004 সালে ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবির বাসিন্দা সোনি কুমারীর সঙ্গে আসানসোলের কসাইমহল্লার বিক্রম গুপ্তের বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে সোনি দেবীর উপর অত্যাচার করত বিক্রম ৷ সোনি দেবীর মা আশা দেবী জানান, নিজের বৌদির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বিক্রমের ৷ তাই সে তাঁর মেয়েকে পছন্দ করত না ৷ নানা অছিলায় মেয়েকে মারধর করত ৷

2008 সালের 6 জুলাই মেয়ের বাড়িতে যান আশা দেবী ৷ সেই সময় বাড়িতে সোনি দেবীর দুই মেয়েও ছিল ৷ সবার সামনেই বিক্রম সোনি দেবীকে মারতে শুরু করে ৷ এরপর ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ 90 শতাংশ পুড়ে যায় সোনি দেবীর শরীর ৷ তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ৷

আসানসোল আদালতের সরকারি আইনজীবী তাপস উকিল জানান, আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন সোনি দেবী ৷ তাঁর মা আশা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় বিক্রম গুপ্ত। সোনি দেবীর মৃত্যুর পর 302 ধারায় মামলা রুজু হয় ৷ এই মামলায় চারজন চিকিৎসক-সহ পরিবারের লোক এবং প্রতিবেশী মিলে মোট 15 জন সাক্ষ্য ছিলেন ৷

যাবতীয় তথ্য প্রমাণ দেখে আসানসোল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত (2)-এর বিচারক শ্রীমতি শরণ্যা সেন প্রসাদ অভিযুক্ত বিক্রম গুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন ৷ মৃত সোনি দেবীর মা আশা দেবী বলেন, "এতদিনে আমার মেয়ে শান্তি পেল ৷ তাঁর উপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে ৷ নিজের বৌদির সঙ্গে অবৈধ প্রেমের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে বিক্রম ৷" তবে বিক্রম গুপ্তর বৌদি-সহ 4 জনকে বিনা প্রমাণের জন্য আদালত বেকসুর খালাস করেছে ৷

আরও পড়ুন: বধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে, রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ

আসানসোলে স্ত্রী সোনি দেবীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামী বিক্রম গুপ্তের

আসানসোল, 16 মে: স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর ৷ আসানসোল উত্তর থানার কসাইমহল্লার বাসিন্দা বিক্রম গুপ্ত কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারে স্ত্রী সোনি দেবীকে । 2008 সালের 6 জুলাই এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সোনি দেবীর মা আশা দেবী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল বিক্রম গুপ্তকে ৷ দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর মঙ্গলবার আসানসোল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত (2)-এর বিচারক শ্রীমতি শরণ্যা সেন প্রসাদ অভিযুক্ত বিক্রম গুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, 2004 সালে ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবির বাসিন্দা সোনি কুমারীর সঙ্গে আসানসোলের কসাইমহল্লার বিক্রম গুপ্তের বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে সোনি দেবীর উপর অত্যাচার করত বিক্রম ৷ সোনি দেবীর মা আশা দেবী জানান, নিজের বৌদির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বিক্রমের ৷ তাই সে তাঁর মেয়েকে পছন্দ করত না ৷ নানা অছিলায় মেয়েকে মারধর করত ৷

2008 সালের 6 জুলাই মেয়ের বাড়িতে যান আশা দেবী ৷ সেই সময় বাড়িতে সোনি দেবীর দুই মেয়েও ছিল ৷ সবার সামনেই বিক্রম সোনি দেবীকে মারতে শুরু করে ৷ এরপর ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ 90 শতাংশ পুড়ে যায় সোনি দেবীর শরীর ৷ তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ৷

আসানসোল আদালতের সরকারি আইনজীবী তাপস উকিল জানান, আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন সোনি দেবী ৷ তাঁর মা আশা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় বিক্রম গুপ্ত। সোনি দেবীর মৃত্যুর পর 302 ধারায় মামলা রুজু হয় ৷ এই মামলায় চারজন চিকিৎসক-সহ পরিবারের লোক এবং প্রতিবেশী মিলে মোট 15 জন সাক্ষ্য ছিলেন ৷

যাবতীয় তথ্য প্রমাণ দেখে আসানসোল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত (2)-এর বিচারক শ্রীমতি শরণ্যা সেন প্রসাদ অভিযুক্ত বিক্রম গুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন ৷ মৃত সোনি দেবীর মা আশা দেবী বলেন, "এতদিনে আমার মেয়ে শান্তি পেল ৷ তাঁর উপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে ৷ নিজের বৌদির সঙ্গে অবৈধ প্রেমের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে বিক্রম ৷" তবে বিক্রম গুপ্তর বৌদি-সহ 4 জনকে বিনা প্রমাণের জন্য আদালত বেকসুর খালাস করেছে ৷

আরও পড়ুন: বধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে, রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.