দুর্গাপুর, 29 মার্চ: দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Sub Divisional Hospital) ভরতি এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর পকেটে গোছা গোছা টাকা ! কখনও তা গুনে দেখছেন সেই রোগী, আবার কখনও পকেটে ঢুকিয়ে রাখছেন । বছর পঞ্চান্ন রোগীর এই কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ নার্স-সহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের কর্মীদের । ওই প্রৌঢ়ের কাণ্ড-কারখানায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
যদিও বুধবার মোবাইলে এই খবর দেখে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে পরিবারের সদস্যরা এসে নিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী সামিউল হুদা খানকে । সোমবার দুপুরে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে ওই রোগীকে ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুই সিভিক ভল্যান্টিয়ার নিয়ে আসেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে । তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে । মঙ্গলবার রাতে ওয়ার্ডের নার্স ও কর্মীরা দেখেন ওই প্রৌঢ় পকেটে থেকে গোছা গোছা টাকা বের করে গুনছেন ৷ আবার সেই টাকা ঢুকিয়ে রাখছেন । এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান কর্মী ও নার্সরা। এত 500 টাকার নোট ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে প্রৌঢ়ের কাছে এল কীভাবে? খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল সুপারকে ।
সুপার ধীমান মণ্ডল এসে গুনে দেখেন মোট 99 হাজার টাকা রয়েছে । ওই টাকা সুপার নিজের হেফাজতে রেখে দেন । নিজের নাম ঠিকানা বলতে পারছিলেন না ওই প্রৌঢ় । কখনও বলছেন তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি স্টেশন রোডে, আবার কখনও বলছেন হুগলি জেলায় । নিজের একাধিক নাম বলছিলেন তিনি । বুধবার সকালে মোবাইলে সামিউল হুদা খানের ছবি-সহ ভিডিয়ো দেখতে পায় পরিবার ৷ তারপর ভাই-সহ পরিবারের সদস্যরা গিরিডি থেকে চলে আসেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে । তাঁদের কাছ থেকেই নাম, পরিচয় জানা যায় ওই রোগীর । রোগীকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে । তাঁর দাদার হাতেই তুলে দেওয়া হয় ওই 99 হাজার টাকা ।
সামিউল হুদা খানের প্রতিবেশী মহম্মদ আজাদ খান বলেন, "গত 25 মার্চ ঘর থেকে বেরিয়ে যান সামিউল হুদা খান । তাঁর দাদা ব্যবসায়ী । তাঁর রাখা এক লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যান তিনি । দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চিকিৎসা চলছে সামিউলের ।"
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন একরত্তি ছেলেকে নদীতে ছুড়ে ফেললেন 'খুনি' মা !