ETV Bharat / state

হাসপাতাল ছেড়ে সীমান্তে ডিউটি, বিক্ষোভ জেলা হাসপাতালের টেকনিশিয়ানদের - hospital technician

হাসপাতালের টেকনিশিয়ানদের বক্তব্য, সীমান্তে তাঁদের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই । তাঁদের খাওয়া-থাকা নিয়েও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 13, 2020, 11:54 PM IST

আসানসোল, 13 মে : হাসপাতাল ছেড়ে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে । আর এর জেরেই আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন জেলা হাসপাতালের টেকনিশিয়ানরা। তাঁদের বক্তব্য, PPE কিট নিম্নমানের। পড়তে গেলে ছিঁড়ে যাচ্ছে। N95 মাস্ক নেই। এমনকি স্যানিটাইজার পর্যন্ত নেই। আর এই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে । এতে একদিকে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল । অন্যদিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের অভাব ঘটবে। ফলে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে অন্য জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া যাবে না।

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে হেলথ কিয়স্ক করা হয়েছে। যেখানে ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষজনদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। অভিযোগ, সেই হেলথ কিয়স্কে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুধু আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকেই টেকনিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। টেকনিশিয়ানদের অল্প সময়ের মধ্যে জানান দিয়ে, তাঁদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেউ যেতে না চাইলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে । সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । এই টেকনিশিয়ানদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাধ্য করে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হলেও উপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না । নিম্নমানের PPE কিট। পড়তে গেলেই ফেটে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে স্টেপলার দিয়ে কিংবা সেলাই করে পরতে হচ্ছে । N95 মাস্ক পর্যাপ্ত নেই। একই মাস্ককে ধুয়ে ধুয়ে পরতে হচ্ছে । ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

এবিষয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে টেকনিশিয়ান কস্তুরী রায় বলেন "আমরা আতঙ্কে রয়েছি । বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে যেখানে আমাদের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেই । পানীয় জল, খাবার কোনওকিছুর ব্যবস্থা নেই । বিষাক্ত পোকা-মাকড় কামড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। আমরা জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।" অন্য এক টেকনিশিয়ান বৃন্দাবন মণ্ডল বলেন, "শুধুমাত্র জেলা হাসপাতাল থেকেই কেন? জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ECL, IISCO, রেল সহ অন্যান্য জায়গাযর স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনিশিয়ানদেরও নিয়ে যাক। শুধুমাত্র জেলা হাসপাতালের টেকনিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়াতে জেলা হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ফলে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে লোক পাওয়া যাচ্ছে না।"

এনিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, "এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান তৈরি করা যাবে না। সুতরাং কাজ করতে হবে। তবে যে সমস্ত অভাব-অভিযোগের কথা তারা জানিয়েছেন, তা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব ।"

আসানসোল, 13 মে : হাসপাতাল ছেড়ে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে । আর এর জেরেই আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন জেলা হাসপাতালের টেকনিশিয়ানরা। তাঁদের বক্তব্য, PPE কিট নিম্নমানের। পড়তে গেলে ছিঁড়ে যাচ্ছে। N95 মাস্ক নেই। এমনকি স্যানিটাইজার পর্যন্ত নেই। আর এই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে । এতে একদিকে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল । অন্যদিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের অভাব ঘটবে। ফলে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে অন্য জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া যাবে না।

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে হেলথ কিয়স্ক করা হয়েছে। যেখানে ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষজনদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। অভিযোগ, সেই হেলথ কিয়স্কে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুধু আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকেই টেকনিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। টেকনিশিয়ানদের অল্প সময়ের মধ্যে জানান দিয়ে, তাঁদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেউ যেতে না চাইলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে । সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । এই টেকনিশিয়ানদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাধ্য করে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হলেও উপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না । নিম্নমানের PPE কিট। পড়তে গেলেই ফেটে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে স্টেপলার দিয়ে কিংবা সেলাই করে পরতে হচ্ছে । N95 মাস্ক পর্যাপ্ত নেই। একই মাস্ককে ধুয়ে ধুয়ে পরতে হচ্ছে । ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

এবিষয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে টেকনিশিয়ান কস্তুরী রায় বলেন "আমরা আতঙ্কে রয়েছি । বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে যেখানে আমাদের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেই । পানীয় জল, খাবার কোনওকিছুর ব্যবস্থা নেই । বিষাক্ত পোকা-মাকড় কামড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। আমরা জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।" অন্য এক টেকনিশিয়ান বৃন্দাবন মণ্ডল বলেন, "শুধুমাত্র জেলা হাসপাতাল থেকেই কেন? জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ECL, IISCO, রেল সহ অন্যান্য জায়গাযর স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনিশিয়ানদেরও নিয়ে যাক। শুধুমাত্র জেলা হাসপাতালের টেকনিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়াতে জেলা হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ফলে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে লোক পাওয়া যাচ্ছে না।"

এনিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, "এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান তৈরি করা যাবে না। সুতরাং কাজ করতে হবে। তবে যে সমস্ত অভাব-অভিযোগের কথা তারা জানিয়েছেন, তা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.