দুর্গাপুর, 2 নভেম্বর: রাজ্য মন্ত্রিসভার উপর আস্থা হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ রাজ্যে হিটলারের শাসন চলছে (Locket Slams Mamata)৷ গোটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জেলের ভেতর রয়েছে ৷ দুর্গাপুরের 16 নম্বর ওয়ার্ডের ঝান্ডাবাগ এলাকায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে শাসকদলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভায় বলেন, বিজেপি গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইন্ধন জোগাতে পারে । ডিসেম্বরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে । তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের এলাকায় নজর রাখার কথা বলতেও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে । এ বিষয়ে দুর্গাপুর থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আইনমন্ত্রী নবান্নকে নিজের সম্পত্তি করে নিয়েছেন ৷ সেখানে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই । হিটলারের শাসন চলছে । আইনশৃঙ্খলার অবনতি থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লড়াই করছে ভারতীয় জনতা পার্টি । রাজ্যের মন্ত্রীরা নিজেরা নিজেদের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন । গোটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়টা জেলের ভেতর ঢুকে গিয়েছে ।"
জানা গিয়েছে, এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি আমলা পুলিশ এবং রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের সতর্ক করে দিয়েছেন । দলের মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা এলাকায় থাকুন । জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় থাকতে বলুন । বিজেপি নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইন্ধন জোগাতে পারে ।’’ মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন, ‘‘পুলিশকে আরও নাকা চেকিং বাড়াতে হবে । যাতে কোনও ধরনের ছোটখাটো ঘটনাও না ঘটে ।’’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, মন্ত্রিসভায় আশঙ্কা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
কোনও চক্রান্ত যাতে বাস্তবে রূপ নিতে না পারে, তার জন্যই প্রশাসনকে নবান্নের ক্যাবিনেট বৈঠক থেকে আগাম সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী । জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যেখানেই গোলমালের খবর পাবেন সেখানে তত্ক্ষণাত্ পৌঁছে সেই গোলমাল যাতে কিছুতে ছড়াতে না পারে বা বড় আকার না নিতে পারে, তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে । মমতার এই মন্তব্য নিয়েই তাঁকে একহাত নেন লকেট ৷
এ দিকে, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ৷ সেই নিয়েও কটাক্ষ করেন লকেট । তিনি বলেন, "বাজার খুব খারাপ, সেজন্যই মদন মিত্র এ সব কথা বলছেন ।"