আসানসোল, 6 জুন : 1 জুন থেকে লকডাউনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিথিলতা মিললেও এখনও পর্যন্ত খোলেনি মাল্টি জিম ৷ ফলে একদিকে যেমন জিম মালিকরা দুই মাস ধরে উপার্জনহীন হয়ে বসে আছেন, তেমনই বডি বিল্ডাররাও আর প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন না ৷ তাই সকলে মিলে জিম খোলার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেন ৷ তাঁদের দাবি, সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে ও সুরক্ষার সমস্ত পদ্ধতি মেনেই তাঁরা জিম চালাতে চান ৷
শুধুমাত্র, আসানসোল শহরেই 52টি মাল্টি জিম রয়েছে ৷ দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউনের জেরে জিমগুলো বন্ধ ৷ বেশিরভাগ জিম বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৈরি ৷ জিম বন্ধ থাকলেও মালিককে ভাড়ি দিতেই হচ্ছে ৷ আসানসোলের ধাদকা অঞ্চলের একটি জিমের মালিক বুবাই দে বলেন, "ভাড়া বাড়িতেই 90 শতাংশ জিম আছে ৷ একদিকে বাড়ির মালিকের চাপ, অন্যদিকে অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে মাল্টি জিম তৈরি করেছেন ৷ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে EMI দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে অথচ আমরা উপার্জনহীন ৷ এ অবস্থায় আমরা কী করব ? এরকম চলতে থাকলে আমাদের জিম পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে ৷ সমস্ত মালপত্র বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করতে হবে ৷"
আসানসোলের চেলিডাঙা অঞ্চলের একটি মাল্টি জিমের মালিক সানি মণ্ডল বলেন, "আমরা সমস্ত রকমের সুরক্ষা মেনেই জিম খুলতে চাইছি ৷ একটি বাসে যে জায়গা থাকে একটি জিমে তার থেকে অনেক বেশি জায়গা থাকে ৷ সরকার বাস চালানোর অনুমতি দিচ্ছে ৷ আমাদের দিচ্ছে না ৷ অথচ জিম 1,800-2000 ফিটের ৷ সে ক্ষেত্রে আমরা মানুষকে অনেক দূরে দূরে রেখে জিম চালাতে পারব ৷ আমাদের জিম খোলার অনুমতি দেওয়া হোক ৷"
অন্যদিকে, জিম বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বডি বিল্ডাররা ৷ আসানসোল থেকে এমন অনেক বডি বিল্ডার রয়েছেন, যাঁরা রাজ্য ও ন্যাশনাল মিটে পদক জিতে এসেছেন ৷ বর্তমানে তাঁদের প্রশিক্ষণ বন্ধ ৷ তাই তাঁরাও চাইছেন জিম খোলার অনুমতি দিক সরকার ৷ সুরক্ষা মেনেই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিক সকলে ৷
