ETV Bharat / state

Stroke Treatment: স্ট্রোকের লক্ষণ দেখলেই এবার সরকারি হাসপাতালে, টেলিমেডিসিনেই সুস্থ হবে রোগী - কী কী লক্ষণ

দৈনন্দিন লাইফস্টাইলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে ৷ যদি স্ট্রোক হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী সরকারি জেলা হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন তাহলে বিশেষ টেলিমেডিসিনের দ্বারা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেওয়া সম্ভব ।

Stroke Free News
চার ঘণ্টার মধ্যে সরকারি জেলা হাসপাতালে গেলেই বিপদ মুক্ত
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 1, 2023, 7:35 PM IST

চার ঘণ্টার মধ্যে সরকারি জেলা হাসপাতালে গেলেই বিপদ মুক্ত

আসানসোল, 1 নভেম্বর: দৈনন্দিন অনিয়মিত লাইফস্টাইল, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, সাবধান থাকার পাশাপাশি সচেতন হলেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরেও রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারেন । যদি স্ট্রোক হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী সরকারি জেলা হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন তাহলে বিশেষ টেলিমেডিসিনের দ্বারা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেওয়া সম্ভব । বিনা পয়সাতেই হবে এই চিকিৎসা, জানাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।

গত 29 অক্টোবর ছিল বিশ্ব স্ট্রোক দিবস । কিন্তু সেদিন রবিবার পড়ায় ছুটি থাকার কারণে বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই স্ট্রোক দিবস পালিত হয় ৷ সাধারণ মানুষকে স্ট্রোক নিয়ে সচেতন করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে সুপার নিখিল চন্দ্র দাস ও স্ট্রোক বিষয়ক আসানসোল জেলা হাসপাতালের নোডাল অফিসার তথা চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত ।

ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত স্ট্রোকের খুঁটিনাটি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন । তিনি বলেন, ‘‘স্ট্রোক মূলত দুই প্রকার । একটি ইস্কিমিক স্ট্রোক এবং আরেকটি হিমোরেজিক স্ট্রোক । ইস্কিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে যদি চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী যে কোনও সরকারি হাসপাতালে পৌঁছন তাহলে তাঁকে সরকারি টেলিমেডিসিন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব ।’’

স্ট্রোকের লক্ষণ:

চিকিৎসক জানালেন, রোগী যদি তাঁর শরীরের ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন কিংবা যদি হঠাৎ করে কম দেখতে শুরু করেন, রোগীর মুখ যদি বেঁকে যায়, হাতে-পায়ে জোর পাচ্ছেন না, অসাড় হয়ে আসছে, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, এমন লক্ষণ যদি হয় তাহলে আর দেরি করা উচিত নয় । রোগীকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না নিয়ে গিয়ে সরাসরি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিত ।

শুভজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘চার ঘণ্টার মধ্যে যদি রোগীকে সরকারি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা যায় তাহলে আমরা তাঁকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে গিয়ে তাঁর সিটি স্ক্যান করাব এবং সিটি স্ক্যান করার পর আধুনিক টেলিমেডিসিন চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা তাঁকে ইনজেকশন দেওয়া হবে ৷ এই ইনজেকশনের দাম 25 হাজার টাকা । কিন্তু রোগীর কাছ থেকে সরকারি হাসপাতালে কোনও টাকা নেওয়া হয় না । এরকম কোনও লক্ষণ থাকলে সরাসরি রোগী ইমার্জেন্সিতে আসুন । তাঁর কাছ থেকে কোনও কাগজপত্র কিছুই নেওয়া হবে না । আগে চিকিৎসার উপরে জোর দেওয়া হবে । সাধারণ মানুষের এই সচেতনতা । অনেক রোগী রয়েছেন যারা প্যারালাইসিস হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন, আমরা তাঁদের চিকিৎসা করেছি । তাঁরা সুস্থ হয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন ৷’’

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল থেকে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান ? খেয়ে দেখুন পেঁয়াজ-ভিনিগার

চার ঘণ্টার মধ্যে সরকারি জেলা হাসপাতালে গেলেই বিপদ মুক্ত

আসানসোল, 1 নভেম্বর: দৈনন্দিন অনিয়মিত লাইফস্টাইল, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, সাবধান থাকার পাশাপাশি সচেতন হলেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরেও রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারেন । যদি স্ট্রোক হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী সরকারি জেলা হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন তাহলে বিশেষ টেলিমেডিসিনের দ্বারা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেওয়া সম্ভব । বিনা পয়সাতেই হবে এই চিকিৎসা, জানাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।

গত 29 অক্টোবর ছিল বিশ্ব স্ট্রোক দিবস । কিন্তু সেদিন রবিবার পড়ায় ছুটি থাকার কারণে বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই স্ট্রোক দিবস পালিত হয় ৷ সাধারণ মানুষকে স্ট্রোক নিয়ে সচেতন করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে সুপার নিখিল চন্দ্র দাস ও স্ট্রোক বিষয়ক আসানসোল জেলা হাসপাতালের নোডাল অফিসার তথা চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত ।

ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত স্ট্রোকের খুঁটিনাটি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন । তিনি বলেন, ‘‘স্ট্রোক মূলত দুই প্রকার । একটি ইস্কিমিক স্ট্রোক এবং আরেকটি হিমোরেজিক স্ট্রোক । ইস্কিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে যদি চার ঘণ্টার মধ্যে রোগী যে কোনও সরকারি হাসপাতালে পৌঁছন তাহলে তাঁকে সরকারি টেলিমেডিসিন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব ।’’

স্ট্রোকের লক্ষণ:

চিকিৎসক জানালেন, রোগী যদি তাঁর শরীরের ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন কিংবা যদি হঠাৎ করে কম দেখতে শুরু করেন, রোগীর মুখ যদি বেঁকে যায়, হাতে-পায়ে জোর পাচ্ছেন না, অসাড় হয়ে আসছে, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, এমন লক্ষণ যদি হয় তাহলে আর দেরি করা উচিত নয় । রোগীকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না নিয়ে গিয়ে সরাসরি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিত ।

শুভজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘চার ঘণ্টার মধ্যে যদি রোগীকে সরকারি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা যায় তাহলে আমরা তাঁকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে গিয়ে তাঁর সিটি স্ক্যান করাব এবং সিটি স্ক্যান করার পর আধুনিক টেলিমেডিসিন চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা তাঁকে ইনজেকশন দেওয়া হবে ৷ এই ইনজেকশনের দাম 25 হাজার টাকা । কিন্তু রোগীর কাছ থেকে সরকারি হাসপাতালে কোনও টাকা নেওয়া হয় না । এরকম কোনও লক্ষণ থাকলে সরাসরি রোগী ইমার্জেন্সিতে আসুন । তাঁর কাছ থেকে কোনও কাগজপত্র কিছুই নেওয়া হবে না । আগে চিকিৎসার উপরে জোর দেওয়া হবে । সাধারণ মানুষের এই সচেতনতা । অনেক রোগী রয়েছেন যারা প্যারালাইসিস হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন, আমরা তাঁদের চিকিৎসা করেছি । তাঁরা সুস্থ হয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন ৷’’

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল থেকে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান ? খেয়ে দেখুন পেঁয়াজ-ভিনিগার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.