ETV Bharat / state

ইনসুলিন-ওষুধ বহনে লাঞ্চবক্স আকারের ফ্রিজ

author img

By

Published : Mar 3, 2020, 4:10 AM IST

Updated : Mar 4, 2020, 4:14 PM IST

ডায়াবেটিক রোগীরা দীর্ঘ সফরে ইনসুলিন বহন করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন৷ আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানো ও শিক্ষকদের সহয়োগিতায় এই আবিষ্কার পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার সেই দুশ্চিন্তা দূর করবে ৷ যাতে বহন করা যাবে ইনসুলিন থেকে জরুরি ওষুধ৷

portable insulin cooler
ইন্সুলিন কুলার

আসানসোল, 3 মার্চ : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সুখবর ৷ বাজারে আসতে চলেছে পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার । এ রাজ্যের আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ও প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানো তৈরি করে ফেলেছেন দীর্ঘ সফরকালে ব্যবহারযোগ্য ইনসুলিন বহনের ছোটো ফ্রিজ বা ইনসুলিন কুলার ৷

সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা যখন দীর্ঘ সফর করেন তখন ইনসুলিন বহন করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন । সফরকালে ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়তেই পারে, কিন্তু কীভাবে, কোথায় ইনসুলিন রাখবেন তারা । তাছাড়া এমন অনেক ওষুধ আছে যেগুলিকে কম তাপমাত্রায় রাখতে হয় ৷ অনেকই এই ধরনের ওষুধ বহনে সমস্যায় পড়েন । সেই সমস্যারই সমাধান হতে চলেছে । আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা মিলে তৈরি করে ফেলেছেন ইনসুলিন কুলার । এবার সহজেই এই ছোটো ফ্রিজে ইনসুলিনসহ অন্যান্য ওষুধ বহন করতে পারবেন রোগীরা । কিন্তু কী এই ইনোভেটিভ পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার ?

এই ফ্রিজে বহন করা যাবে ইনসুলিন থেকে জরুরি ওষুধ

দেখতে লাঞ্চ বক্সের মতো । আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক বিকাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, "আমাদের কলেজের অ্যাপলায়েড ইলেকট্রনিক এবং ইনস্টুমেনস্ট্রেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানোর কনসেপ্ট ছিল এই প্রজেক্টটি । আমাদের সহযোগিতায় সে একাই এই প্রজেক্টটি সফল করে । মাইক্রো-কন্ট্রোলার সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এই যন্ত্রটিকে । 5 থেকে 30 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে যন্ত্রটি । যা প্রয়োজন মতো কন্ট্রোল করা যাবে । সঙ্গে রয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি । এক ঘণ্টা চার্জ করলে 10 থেকে 12 ঘণ্টা মেশিনটি সক্রিয় থাকবে ৷ অর্থাৎ ইনসুলিনসহ অন্যান্য ওষুধ নিয়ে 10 থেকে 12 ঘণ্টা সফর করতে পারবেন একজন রোগী । ওজন বেশি নয়, মাত্র 300 থেকে 400 গ্রাম ।" কিন্তু বাজারে এলে মধ্যবিত্তের হাতের মধ্যে থাকবে তো যন্ত্রের মূল্য ?

বিকাশবাবু জানালেন, যন্ত্রটির দাম সাধ্যের মধ্যেই থাকবে ৷ দাম হতে পারে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা । এইসঙ্গে ইনসুলিন কুলারের আরও এক বিশেষ কার্যকারিতা জানালেন তিনি ৷ ডিভাইসটির মধ্যে এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে যখনই কুলারের ঢাকনা খোলা হবে তখনই SMS যাবে আগে থেকে সংযুক্ত নির্দিষ্ট মোবাইলের নম্বরে ৷ যার মাধ্যমে রোগী ইনসুলিন নিয়েছেন কি না পরিবারের লোকের কাছে সেই বার্তাও পৌঁছে যাবে ৷ পাশাপাশি অ্যালার্ম দেওয়ার ব্যবস্থাও পাওয়া যাবে ৷ যে অ্যালার্ম রোগীকে বলে দেবে, ইনসুলিন নেওয়ার সময় হয়েছে এবার ।

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য এটি নিয়ে বলেন, "বর্তমান সময়ে যে সমস্ত ফ্রিজ়ার সিস্টেম রয়েছে সেগুলি ইকোফ্রেন্ডলি নয় ৷ এই যন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে ইকোফ্রেন্ডলি । সেক্ষেত্রে যুগান্তকারী যন্ত্র হয়ে ওঠার গুণ রয়েছে ইনোভেটিভ পোর্টেবল ইনসুলিন কুলারের ৷ ফলে পেটেন্টসহ ব্যাবসায়িক দিকটি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছি আমরা ।"

আসানসোল, 3 মার্চ : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সুখবর ৷ বাজারে আসতে চলেছে পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার । এ রাজ্যের আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ও প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানো তৈরি করে ফেলেছেন দীর্ঘ সফরকালে ব্যবহারযোগ্য ইনসুলিন বহনের ছোটো ফ্রিজ বা ইনসুলিন কুলার ৷

সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা যখন দীর্ঘ সফর করেন তখন ইনসুলিন বহন করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন । সফরকালে ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়তেই পারে, কিন্তু কীভাবে, কোথায় ইনসুলিন রাখবেন তারা । তাছাড়া এমন অনেক ওষুধ আছে যেগুলিকে কম তাপমাত্রায় রাখতে হয় ৷ অনেকই এই ধরনের ওষুধ বহনে সমস্যায় পড়েন । সেই সমস্যারই সমাধান হতে চলেছে । আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা মিলে তৈরি করে ফেলেছেন ইনসুলিন কুলার । এবার সহজেই এই ছোটো ফ্রিজে ইনসুলিনসহ অন্যান্য ওষুধ বহন করতে পারবেন রোগীরা । কিন্তু কী এই ইনোভেটিভ পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার ?

এই ফ্রিজে বহন করা যাবে ইনসুলিন থেকে জরুরি ওষুধ

দেখতে লাঞ্চ বক্সের মতো । আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক বিকাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, "আমাদের কলেজের অ্যাপলায়েড ইলেকট্রনিক এবং ইনস্টুমেনস্ট্রেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানোর কনসেপ্ট ছিল এই প্রজেক্টটি । আমাদের সহযোগিতায় সে একাই এই প্রজেক্টটি সফল করে । মাইক্রো-কন্ট্রোলার সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এই যন্ত্রটিকে । 5 থেকে 30 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে যন্ত্রটি । যা প্রয়োজন মতো কন্ট্রোল করা যাবে । সঙ্গে রয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি । এক ঘণ্টা চার্জ করলে 10 থেকে 12 ঘণ্টা মেশিনটি সক্রিয় থাকবে ৷ অর্থাৎ ইনসুলিনসহ অন্যান্য ওষুধ নিয়ে 10 থেকে 12 ঘণ্টা সফর করতে পারবেন একজন রোগী । ওজন বেশি নয়, মাত্র 300 থেকে 400 গ্রাম ।" কিন্তু বাজারে এলে মধ্যবিত্তের হাতের মধ্যে থাকবে তো যন্ত্রের মূল্য ?

বিকাশবাবু জানালেন, যন্ত্রটির দাম সাধ্যের মধ্যেই থাকবে ৷ দাম হতে পারে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা । এইসঙ্গে ইনসুলিন কুলারের আরও এক বিশেষ কার্যকারিতা জানালেন তিনি ৷ ডিভাইসটির মধ্যে এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে যখনই কুলারের ঢাকনা খোলা হবে তখনই SMS যাবে আগে থেকে সংযুক্ত নির্দিষ্ট মোবাইলের নম্বরে ৷ যার মাধ্যমে রোগী ইনসুলিন নিয়েছেন কি না পরিবারের লোকের কাছে সেই বার্তাও পৌঁছে যাবে ৷ পাশাপাশি অ্যালার্ম দেওয়ার ব্যবস্থাও পাওয়া যাবে ৷ যে অ্যালার্ম রোগীকে বলে দেবে, ইনসুলিন নেওয়ার সময় হয়েছে এবার ।

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য এটি নিয়ে বলেন, "বর্তমান সময়ে যে সমস্ত ফ্রিজ়ার সিস্টেম রয়েছে সেগুলি ইকোফ্রেন্ডলি নয় ৷ এই যন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে ইকোফ্রেন্ডলি । সেক্ষেত্রে যুগান্তকারী যন্ত্র হয়ে ওঠার গুণ রয়েছে ইনোভেটিভ পোর্টেবল ইনসুলিন কুলারের ৷ ফলে পেটেন্টসহ ব্যাবসায়িক দিকটি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছি আমরা ।"

Last Updated : Mar 4, 2020, 4:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.