ETV Bharat / state

কলকাতার টানে মুম্বই থেকে চলে আসাটা ভুল ছিল, অকপট বিখ্যাত বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

Flute Player Jayanta Chatterjee: বাঁশি বাজাতে বাজাতেই যেন তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে শেষ ইচ্ছের কথা জানালেন 63 বছরের বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷

Flute player Jayanta Chatterjee
বিখ্যাত বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 6, 2023, 5:27 PM IST

অকপট বিখ্যাত বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

দুর্গাপুর, 6 ডিসেম্বর: তাঁর বাশিতে যেন সরস্বতীর বাস ৷ ঠোঁটের গোড়ায় বাঁশি ধরলেই আপনি থেকে বেরিয়ে আসে সুর ৷ তাঁর বাঁশির সেই সুরে মাতোয়ারা টলিউড থেকে বলিউড ৷ তিনি বিখ্যাত বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে অকপট এই বংশীবাদক ৷

মাত্র 14 বছর বয়স থেকে বাঁশির সুরে তুফান তোলা শুরু তাঁর । এরপরে জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাতেও তাঁর বাঁশির সুর থেমে যায়নি । বাঁশি বাজাতে বাজাতে কখন যে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন, তা তিনি হয়তো নিজেও জানেন না । এই বংশীবাদক মুম্বইয়েও পাড়ি দেন । সেখানে অডিশনে এ গ্রেড পাওয়ার পরে বিখ্যাত সুরকার লক্ষীকান্ত প্যায়ারেলাল ও রবীন্দ্র জৈনদের সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে তাক লাগান ৷ তবে তিনি কোনওদিনই প্রচারের আলোয় আসেননি । ভারতবর্ষের বহু বিখ্যাত সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে তিনি মঞ্চে বাঁশি বাজিয়েছেন । সেই তালিকায় রয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর থেকে মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এমনকী বর্তমান মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে বহু অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি ।

তবে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এখন আর সেভাবে বড় শিল্পীদের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর ডাক পান ৷ এ নিয়ে আক্ষেপ হলেও তিনি বলেন, "রিয়েলিটি শো তে বাঁশি বাজানোর কথা বলেছিল । কিন্তু সেখানে দীর্ঘ সময় রিহার্সাল করতে হয় । এই বয়সে আর পারব না ।" তিনি জানালেন, কলকাতার টানে মুম্বই থেকে চলে আসাটাই মস্ত বড় ভুল ছিল তাঁর জীবনে ৷ বংশীবাদকের কথায়, "কালীঘাটের ছেলে আমি । মমতা দিদির বাড়ির উলটোদিকেই বাড়ি । আসলে কলকাতার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা খুব মিশ করতাম ৷ তাই সব ছেড়ে মুম্বই থেকে কলকাতা চলে এলাম । আর এটাই আমার জীবনের চরমতম ভুল আজ বুঝি ।"

এখন লোকসঙ্গীতের একটি দলের সঙ্গেই তিনি এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা,দেশ ও বিদেশে ঘুরে ঘুরে বাঁশির সুরে মুর্চ্ছিত করে তুলছেন শ্রোতাদের । আজ আর নূতন করে তাই কিছু চাওয়ার নেই তাঁর । 63 বছর বয়সেও ইচ্ছে, বাঁশি বাজাতে বাজাতেই যেন মৃত্যু হয় তাঁর । বলেন,"আমার গুরু বাঁশি বাজাতে বাজাতে স্টুডিয়োতেই মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন । আমিও চাই সরস্বতী মা আমার জীবনে যেন সেভাবেই মরণ এনে দেন । জীবনের শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় পর্যন্তও আমি যেন বাঁশি বাজিয়ে যেতে পারি ।"

আরও পড়ুন:

  1. আশ্চর্য প্রতিভা! 18 বছর ধরে নাক দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে তাক লাগাচ্ছেন চিত্তরঞ্জন
  2. স্টেশন চত্বরেই থমকে বাঁশিওয়ালা অনিল বিশ্বাসের প্রতিভা
  3. পেটেন্টের অপেক্ষায় জাতীয়স্তরের বাঁশি বাদকের তৈরি পিভিসি পাইপের বাঁশি

অকপট বিখ্যাত বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

দুর্গাপুর, 6 ডিসেম্বর: তাঁর বাশিতে যেন সরস্বতীর বাস ৷ ঠোঁটের গোড়ায় বাঁশি ধরলেই আপনি থেকে বেরিয়ে আসে সুর ৷ তাঁর বাঁশির সেই সুরে মাতোয়ারা টলিউড থেকে বলিউড ৷ তিনি বিখ্যাত বংশীবাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে অকপট এই বংশীবাদক ৷

মাত্র 14 বছর বয়স থেকে বাঁশির সুরে তুফান তোলা শুরু তাঁর । এরপরে জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাতেও তাঁর বাঁশির সুর থেমে যায়নি । বাঁশি বাজাতে বাজাতে কখন যে তিনি বিখ্যাত হয়েছেন, তা তিনি হয়তো নিজেও জানেন না । এই বংশীবাদক মুম্বইয়েও পাড়ি দেন । সেখানে অডিশনে এ গ্রেড পাওয়ার পরে বিখ্যাত সুরকার লক্ষীকান্ত প্যায়ারেলাল ও রবীন্দ্র জৈনদের সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে তাক লাগান ৷ তবে তিনি কোনওদিনই প্রচারের আলোয় আসেননি । ভারতবর্ষের বহু বিখ্যাত সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে তিনি মঞ্চে বাঁশি বাজিয়েছেন । সেই তালিকায় রয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর থেকে মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এমনকী বর্তমান মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে বহু অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি ।

তবে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এখন আর সেভাবে বড় শিল্পীদের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর ডাক পান ৷ এ নিয়ে আক্ষেপ হলেও তিনি বলেন, "রিয়েলিটি শো তে বাঁশি বাজানোর কথা বলেছিল । কিন্তু সেখানে দীর্ঘ সময় রিহার্সাল করতে হয় । এই বয়সে আর পারব না ।" তিনি জানালেন, কলকাতার টানে মুম্বই থেকে চলে আসাটাই মস্ত বড় ভুল ছিল তাঁর জীবনে ৷ বংশীবাদকের কথায়, "কালীঘাটের ছেলে আমি । মমতা দিদির বাড়ির উলটোদিকেই বাড়ি । আসলে কলকাতার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা খুব মিশ করতাম ৷ তাই সব ছেড়ে মুম্বই থেকে কলকাতা চলে এলাম । আর এটাই আমার জীবনের চরমতম ভুল আজ বুঝি ।"

এখন লোকসঙ্গীতের একটি দলের সঙ্গেই তিনি এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা,দেশ ও বিদেশে ঘুরে ঘুরে বাঁশির সুরে মুর্চ্ছিত করে তুলছেন শ্রোতাদের । আজ আর নূতন করে তাই কিছু চাওয়ার নেই তাঁর । 63 বছর বয়সেও ইচ্ছে, বাঁশি বাজাতে বাজাতেই যেন মৃত্যু হয় তাঁর । বলেন,"আমার গুরু বাঁশি বাজাতে বাজাতে স্টুডিয়োতেই মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন । আমিও চাই সরস্বতী মা আমার জীবনে যেন সেভাবেই মরণ এনে দেন । জীবনের শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় পর্যন্তও আমি যেন বাঁশি বাজিয়ে যেতে পারি ।"

আরও পড়ুন:

  1. আশ্চর্য প্রতিভা! 18 বছর ধরে নাক দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে তাক লাগাচ্ছেন চিত্তরঞ্জন
  2. স্টেশন চত্বরেই থমকে বাঁশিওয়ালা অনিল বিশ্বাসের প্রতিভা
  3. পেটেন্টের অপেক্ষায় জাতীয়স্তরের বাঁশি বাদকের তৈরি পিভিসি পাইপের বাঁশি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.