ETV Bharat / state

আগে প্রচারে বেরিয়ে ক্লান্ত হলে মেজাজ দেখাতাম : মুনমুন - বাবুল সুপ্রিয়

আমি আগে কিছু জানতাম না। এখন অনেক কিছু জানি। বাঁকুড়াতে আমায় আদর করে নিয়ে যেত। বলত, এখানে যেতে হবে, ওখানে যেতে হবে। আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে, মেজাজ দেখাতাম। বলে দিতাম, এতক্ষণ এখানে থাকতে পারব না। এটা করব না, ওটা করব না। কিন্তু, পরে বুঝলাম, এটা একটা মিষ্টি, সুন্দর-সংসার। এখানে এসেও আমি দেখলাম, সবাই ওদের মতো।

মুনমুন সেন
author img

By

Published : Apr 4, 2019, 6:51 AM IST

Updated : Apr 4, 2019, 7:12 PM IST

আসানসোল, 4 এপ্রিল : তিনি বাঁকুড়ার বিদায়ি সাংসদ। এবার আসানসোলের প্রার্থী। প্রতিপক্ষ বাবুল সুপ্রিয়। তাই, লড়াইটা বেশ কঠিন। তবে, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মুনমুন সেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই যে তাঁর পছন্দ তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

গতকাল আসানসোলের সালানপুর গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রচারে যান মুনমুন। সেখানে সামডি পঞ্চায়েতের লোহাট, উত্তরামপুর জিৎপুর পঞ্চায়েতের চয়নপুর, আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছোটো ছোটো সভা করেন। সভামঞ্চ থেকে বলেন, "যখন প্রথমে বাঁকুড়ার প্রার্থী হয়েছিলাম আমি কিছুই জানতাম না। এখন অনেক কিছু জানি। বাঁকুড়াতে আমায় আদর করে নিয়ে যেত। বলত, এখানে যেতে হবে, ওখানে যেতে হবে। আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে, মেজাজ দেখাতাম। বলে দিতাম, এতক্ষণ এখানে থাকতে পারব না। এটা করব না, ওটা করব না। কিন্তু, পরে বুঝলাম, এটা একটা মিষ্টি, সুন্দর-সংসার। এখানে এসেও আমি দেখলাম, সবাই ওদের মতো। সুবিধা ছিল, মমতা ব্যানার্জি অনেক কাজ করেছিলেন বাঁকুড়ায়। আমাদের সবার মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "গোটা দেশকে দেখিয়ে দিতে হবে আসানসোলে কত শান্তিপূর্ণ ভোট করে তৃণমূল জিতেছে। দিল্লি দেখবে, গোটা বিশ্ব দেখবে। কারোর সাথে কোনও কারণেই অশান্তি করবে না।”

ভিডিয়োয় শুনুন মুনমুন সেনের বক্তব্য

মুনমুন জানান, তাঁর দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমা সেনও আসানসোলে প্রচারে আসবেন। কবে আসবেন, তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান মুনমুন। বলেন, "আমি বাঁকুড়ার জেলাশাসকের থেকে কাজ শিখেছি। এখানেও জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। বলেছি, একসঙ্গে কাজ করব।"

আসানসোল, 4 এপ্রিল : তিনি বাঁকুড়ার বিদায়ি সাংসদ। এবার আসানসোলের প্রার্থী। প্রতিপক্ষ বাবুল সুপ্রিয়। তাই, লড়াইটা বেশ কঠিন। তবে, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মুনমুন সেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই যে তাঁর পছন্দ তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

গতকাল আসানসোলের সালানপুর গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রচারে যান মুনমুন। সেখানে সামডি পঞ্চায়েতের লোহাট, উত্তরামপুর জিৎপুর পঞ্চায়েতের চয়নপুর, আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছোটো ছোটো সভা করেন। সভামঞ্চ থেকে বলেন, "যখন প্রথমে বাঁকুড়ার প্রার্থী হয়েছিলাম আমি কিছুই জানতাম না। এখন অনেক কিছু জানি। বাঁকুড়াতে আমায় আদর করে নিয়ে যেত। বলত, এখানে যেতে হবে, ওখানে যেতে হবে। আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে, মেজাজ দেখাতাম। বলে দিতাম, এতক্ষণ এখানে থাকতে পারব না। এটা করব না, ওটা করব না। কিন্তু, পরে বুঝলাম, এটা একটা মিষ্টি, সুন্দর-সংসার। এখানে এসেও আমি দেখলাম, সবাই ওদের মতো। সুবিধা ছিল, মমতা ব্যানার্জি অনেক কাজ করেছিলেন বাঁকুড়ায়। আমাদের সবার মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "গোটা দেশকে দেখিয়ে দিতে হবে আসানসোলে কত শান্তিপূর্ণ ভোট করে তৃণমূল জিতেছে। দিল্লি দেখবে, গোটা বিশ্ব দেখবে। কারোর সাথে কোনও কারণেই অশান্তি করবে না।”

ভিডিয়োয় শুনুন মুনমুন সেনের বক্তব্য

মুনমুন জানান, তাঁর দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমা সেনও আসানসোলে প্রচারে আসবেন। কবে আসবেন, তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান মুনমুন। বলেন, "আমি বাঁকুড়ার জেলাশাসকের থেকে কাজ শিখেছি। এখানেও জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। বলেছি, একসঙ্গে কাজ করব।"

Intro:"আমার গলা বেসুরো তাই আমি পারবো না।" কর্মী সম্মেলনে জাতীয় সংগীত গাইতে অনুরোধ করায় এমনই মন্তব্য করলেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। এবং সত্যি সত্যি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় তিনি সামনে থেকে পিছনের সারিতে চলে যান। কোনমতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক । আজ সন্ধ্যায় আসানসোল রবীন্দ্রভবনে ঘটনাটি ঘটে।


Body:আজ সন্ধ্যায় আসানসোল রবীন্দ্রভবনে INTTUC-র ডাকে একটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের সমর্থনে এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। মুনমুন সেন ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি সহ শ্রমিক নেতারা। প্রত্যেকেই নিজের নিজের বক্তব্য রাখেন এদিন মঞ্চে। কিন্তু সব শেষ হওয়ার পর অন্যান্য সভার মত, এই সভাতেও জাতীয় সংগীত গাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুনমুন সেন বলেন 'সব শেষ হয়ে গিয়েছে তো সবাই উঠে পড়েছেন"। তখন পার্শ্ববর্তী শ্রমিক নেতারা তাকে অনুরোধ করেন জাতীয় সংগীত গাইতে। মুনমুন সেন জানান "আমার বেসুরো গলা। তাই আমি গাইতে পারবোনা। আপনারা বেসুরো গলায় গান, আমি শুনব।''
এই কথা শুনেই বারবার শ্রমিক নেতারা তাকে অনুরোধ করলেও তিনি মাইক ছেড়ে পিছিয়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এগিয়ে আসেন এবং তিনি নিজেই গান শুরু করেন। পিছনের সারিতে মুনমুন সেন কখনো গেয়েছেন বিড়বিড় করে। কখনো আবার চুপ থেকেছেন। জাতীয় সংগীত নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর এই মনোভাবকে ঠিকঠাকভাবে নেয়নি দলের নিচুতলার কর্মীরা।


Conclusion:
Last Updated : Apr 4, 2019, 7:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.