দুর্গাপুর, 29 অগস্ট: চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-3 সফল অবতরণ করেছে ৷ আর তা দেখে কয়েকজন তরুণ মিলে এই মহাকাশযানের মতোই একটি মডেল চন্দ্রযান তৈরি করে ফেললেন ৷ সঙ্গে রয়েছে রোভার প্রজ্ঞানও ৷ পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বাসিন্দা পেশায় ফুল ব্যবসায়ী মনু ও তাঁর সঙ্গীরা ৷
প্রথমে চন্দ্রযান-3-এর রেপ্লিকা বানিয়েছেন মনু ও তাঁর দলের তরুণরা ৷ তারপর ঠিক চন্দ্রযান-3-এর আদলে তা মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা ৷ মহাকাশে না-গেলেও মনুর চন্দ্রযান 30 ফুটের কিছু বেশি উচ্চতা পর্যন্ত উড়েছে ৷ দুর্গাপুরের গোপালমাঠে তাঁদের প্রতীকী চন্দ্রযান ওড়ান মনুরা ৷ চোখের সামনে এমন ঘটনায় স্বভাবতই আনন্দিত দুর্গাপুরের বহু মানুষ ৷
জানা গিয়েছে, ইসরোর চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণের পরপরই ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীদের সম্মান জানাতে প্রতীকী চন্দ্রযান-3 তৈরি করেছিলেন মনু ও তাঁর সঙ্গীরা ৷ আর তাক লাগিয়েছে এলাকাবাসীদের ৷ মডেল চন্দ্রযান-3-তে থেমে থাকেননি মনু ৷ ইসরোর চন্দ্রযান-3-এর মতোই তৈরি করে ফেলেছেন প্রতীকী রোভার প্রজ্ঞান ৷ মোবাইল রিমোটের মাধ্যমে যা সহজেই চালনা করা যায় ৷
প্রতীকী রোভার প্রজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয় গোপালমাঠ এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় ৷ সেই কীর্তি দেখতে এসেছিলেন স্থানীয়রাও ৷ মনুদের এই প্রতীকী চন্দ্রযান-3-এ সোলার সিস্টেম দ্বারা চালিত মনুর তৈরি রোভার প্রজ্ঞানও রয়েছে ৷ প্রজ্ঞান তৈরি হয়েছে সোলার প্যানেল বসিয়ে ৷ নাইট ভিশন ক্যামেরা-সহ প্রতীকী প্রজ্ঞানের রেপ্লিকাতে রয়েছে আলোর ব্যবস্থা ৷ মনু ও তাঁর দলবলের তৈরি প্রজ্ঞানের 360 ডিগ্রি ক্যামেরা আছে ৷ তাতে চলার পথে সব কিছু রেকর্ড হয়ে যায় ৷ ইসরোর বিজ্ঞানী তথা দেশের সাফল্যকে সম্মান জানাতে প্রতীকী প্রজ্ঞানে রয়েছে জাতীয় পতাকাও ৷
আরও পড়ুন: শিবশক্তি পয়েন্টের চারপাশে ঘুরছে প্রজ্ঞান, ভিডিয়ো প্রকাশ করল ইসরো
23 অগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে 6টায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান চন্দ্রযান-3 নেমেছে ৷ ভারতই প্রথম দেশ হিসেবে এই জায়গায় মহাকাশযান পাঠিয়েছে ৷ আর সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ ৷ এর আগে সোভিয়েন ইউনিয়ন, চিন, আমেরিকা চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করেছে ৷ এবার 2 সেপ্টেম্বর সূর্যের পথে রওনা হবে আদিত্য এল-1 ৷ অপেক্ষায় দেশ তথা দুনিয়া ৷