ETV Bharat / state

Man stays with Mother Body: মাকে কি খুন করে পচাগলা দেহের পাশে শুয়েছিলেন ছেলে ? তদন্তে পুলিশ - Durgapur Police

মায়ের পচাগলা দেহের পাশে শুয়ে রয়েছে ছেলে ৷ দুর্গাপুরে একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে এই অবস্থাতেই দুজনকে উদ্ধার করল পুলিশ ৷ ছেলেই মাকে খুন করেছে কি না, তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷

man killed mother
man killed mother
author img

By

Published : May 19, 2023, 6:04 PM IST

মায়ের পচাগলা দেহের পাশে শুয়ে ছেলে

দুর্গাপুর, 19 মে: সন্ধের কালবৈশাখী ঝড়ের পরই তালাবন্ধ ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল । তা দেখে প্রতিবেশীরা দুর্গাপুর থানার পুলিশকে খবর দেন । রাতে পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে দেখে, ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে বৃদ্ধার পচা গলা দেহ আর তার পাশেই পড়ে আছেন তাঁর ছেলে । মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় পুলিশ বুঝতে পারে ছেলে বেঁচে আছে । তাঁর মুখে চোখে জল দিতেই জ্ঞান ফেরে তাঁর । প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের কথায়, ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে ছিলেন ছেলে । তাই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এই আবাসন বিক্রি নিয়ে মায়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন তিনি । তাহলে কি মাকে খুন করেই তাঁর পাশে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়েছিল ছেলে ? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ।

দুর্গাপুর থানার স্টিল টাউনশিপের হস্টেল অ্যাভিনিউ এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । বন্ধ ঘরে মায়ের পচাগলা দেহের পাশেই শুয়ে ছিলেন ছেলে । বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷ মৃতার নাম অন্ন চক্রবর্তী । বয়স আনুমানিক 61। মৃতার পাশ থেকে তাঁর ছেলে রজত চক্রবর্তীকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

স্থানীয়রা প্রথমে ওই ঘরে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন । এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় । মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনও কিছু জানাতে পারেনি । পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । স্থানীয়দের অনুমান, ছেলেই হয়তো মা-কে খুন করে মৃতদেহের পাশে শুয়েছিলেন ।

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চাকরি করতেন রজত চক্রবর্তীর প্রয়াত বাবা । রজতের বিয়ে হওয়ার পর তাঁদের একটি সন্তানের জন্ম হয় । তারপর থেকে রজতের স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে রয়েছেন । প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশী, আত্মীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রজত চক্রবর্তী বেশ কিছু টাকা শেয়ার বাজারে লগ্নি করে ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন । দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের এই আবাসনটি 99 বছরের জন্য লিজে নেওয়া । তাই এই আবাসনটি বিক্রি করে ঋণ মেটানোর কথা ভাবছিলেন রজত চক্রবর্তী । আর তাই নিয়েই কি মায়ের সঙ্গে তাঁর মতান্তর ছিল ? তার জেরেই কি মাকে খুন করল ছেলে ? পুলিশের পক্ষ থেকে রজতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পরেই বৃদ্ধার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর দুর্গাপুরে ।

আরও পড়ুন: নদী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ নাবালকের দেহ, খুনের দাবি বাবার

মায়ের পচাগলা দেহের পাশে শুয়ে ছেলে

দুর্গাপুর, 19 মে: সন্ধের কালবৈশাখী ঝড়ের পরই তালাবন্ধ ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল । তা দেখে প্রতিবেশীরা দুর্গাপুর থানার পুলিশকে খবর দেন । রাতে পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙে দেখে, ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে বৃদ্ধার পচা গলা দেহ আর তার পাশেই পড়ে আছেন তাঁর ছেলে । মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় পুলিশ বুঝতে পারে ছেলে বেঁচে আছে । তাঁর মুখে চোখে জল দিতেই জ্ঞান ফেরে তাঁর । প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের কথায়, ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে ছিলেন ছেলে । তাই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এই আবাসন বিক্রি নিয়ে মায়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন তিনি । তাহলে কি মাকে খুন করেই তাঁর পাশে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়েছিল ছেলে ? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ।

দুর্গাপুর থানার স্টিল টাউনশিপের হস্টেল অ্যাভিনিউ এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । বন্ধ ঘরে মায়ের পচাগলা দেহের পাশেই শুয়ে ছিলেন ছেলে । বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷ মৃতার নাম অন্ন চক্রবর্তী । বয়স আনুমানিক 61। মৃতার পাশ থেকে তাঁর ছেলে রজত চক্রবর্তীকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

স্থানীয়রা প্রথমে ওই ঘরে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন । এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় । মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনও কিছু জানাতে পারেনি । পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । স্থানীয়দের অনুমান, ছেলেই হয়তো মা-কে খুন করে মৃতদেহের পাশে শুয়েছিলেন ।

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চাকরি করতেন রজত চক্রবর্তীর প্রয়াত বাবা । রজতের বিয়ে হওয়ার পর তাঁদের একটি সন্তানের জন্ম হয় । তারপর থেকে রজতের স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে রয়েছেন । প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশী, আত্মীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রজত চক্রবর্তী বেশ কিছু টাকা শেয়ার বাজারে লগ্নি করে ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন । দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের এই আবাসনটি 99 বছরের জন্য লিজে নেওয়া । তাই এই আবাসনটি বিক্রি করে ঋণ মেটানোর কথা ভাবছিলেন রজত চক্রবর্তী । আর তাই নিয়েই কি মায়ের সঙ্গে তাঁর মতান্তর ছিল ? তার জেরেই কি মাকে খুন করল ছেলে ? পুলিশের পক্ষ থেকে রজতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পরেই বৃদ্ধার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর দুর্গাপুরে ।

আরও পড়ুন: নদী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ নাবালকের দেহ, খুনের দাবি বাবার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.