দুর্গাপুর 18 এপ্রিল: এতদিন অনুনয়-বিনয়, করজোড়ে আবেদন করছিলেন । কিন্তু ভালো কথায় কাজ হয়নি । পুলিশের হাজার বোঝানো সত্ত্বেও কোরোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সচেতন হয়নি শিল্পনগরী দুর্গাপুর । ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে বাজার-হাট, অবাধে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, সবই চলছিল । এসব দেখে আর ধৈর্য রাখতে পারেনি পুলিশ । শনিবার বেনাচিতি বাজারে সাধারণ মানুষকে আঙুল উঁচিয়ে রীতিমতো শাসন করতে দেখা গেল পুলিশকে । রণমূর্তি ধারণ করতেই কাজ হল ম্যাজিকের মতো । নিমেষেই ফাঁকা হয়ে গেল বেনাচিতি বাজারের ভিড় ।
দুর্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার অকারণে বাজারে ভিড় করতে বারণ করা হয় । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র কেনার কথা বলা হয় । সেসবের তোয়াক্কা না করেই দুর্গাপুরের ঘোষ মার্কেটে ভিড় হচ্ছে প্রতিদিনই । সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ভিড় ঠেলে বাজার-হাট করতে ব্যস্ত শহরবাসী । শনিবার সকালে ঘোষ মার্কেটের ভিড়ে ঠাসা ছবিটা দেখে শিউরে ওঠেন দুর্গাপুর থানার ইন-চার্জ রাজশেখর মুখোপাধ্যায় । এতদিন অনুনয়ের সুরে কথা বললেও আজ আঙ্গুল তুলে শাসন করলেন বাজারে আসা মানুষজনদের । পুলিশের মূর্তি দেখে অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যায় ঘোষ মার্কেট এলাকা । লকডাউন অমান্য করে বেরোনো টোটো চালকদের ধমকে বাড়ি ফেরান দুর্গাপুর থানার ইন-চার্জ সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা । লকডাউন ভঙ্গ করে অযথা বাইরে ঘুরলে গ্রেপ্তার করার হুমকিও দেওয়া হয় ।
পুলিশ প্রশাসন এবং মহকুমা প্রশাসন ছাড়াও দুর্গাপুর বণিকসভার পক্ষ থেকে কোরোনা সচেতনতায় ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে দুর্গাপুরের বাজারগুলিতে । দুর্গাপুর পুলিশ এখনও পর্যন্ত 50 জন লকডাউন ভঙ্গকারীকে গ্রেপ্তার করেছে । কিন্তু তা সত্ত্বেও হুঁশ ফেরেনি বহু মানুষের । তাই এবার কড়া হাতেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ ।