দুর্গাপুর, 2 নভেম্বর : দুর্গাপুর ব্যারেজ শনিবার থেকে জলশূন্য । এর প্রভাব পড়েছে শিল্পশহরের কলকারখানাগুলিতে । দুর্গাপুরের বেশ কিছু কলকারখানার পাওয়ার প্ল্যান্ট জলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে কারখানার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে ।
আজ বিকেলে গেট সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে । দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইঞ্জিনিয়ার ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সারাইয়ের কাজ শুরু হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে কমপক্ষে ৩৬ থেকে ৪০ ঘণ্টা সময় লাগবে । অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের আগে জল দুর্গাপুর ব্যারেজে বেঁধে রাখা যাবে না এটা স্পষ্ট । বেসরকারি কারখানা বন্ধের পাশাপাশি দুর্গাপুরের 43 টি ওয়ার্ডের মধ্যে স্টিল টাউনশিপের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ডগুলি রবিবার বিকেল থেকে জল পায়নি । দুর্গাপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে ওয়ার্ডগুলিতে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করলেও তা সব জায়গায় পৌঁছায়নি । অন্যদিকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার CEO কমলাকার আজ জানান, আপাতত ৫-৬ দিন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও জলের জন্য জোগান আছে । কিন্তু দুর্গাপুরের রাতুড়িয়া, অঙ্গদপুর, সগরভাঙা সহ লেলিন সরণি শিল্পতালুকের বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ।
সোমবার বিকেল 5 টা নাগাদ 31 নম্বর লকগেট সারাইয়ের কাজ শুরু হয় । সুতরাং লকগেট সারাইয়ের পর ফের মাইথন জলাধারের জল দামোদরে বুক বেয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে জমা হতে হতে বুধবার রাত অথবা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে অনুমান । ফলে পরিস্থিতি কাল থেকে আরও ভয়াবহ হতে পারে । কারণ ইতিমধ্যেই জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে । জল না থাকায় রাজ্য সরকারের তাপবিদ্যুৎ কারখানা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের প্রশাসনিক ভবনের মহিলা কর্মীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় । মঙ্গলবার থেকে এই সমস্যা যে ব্যাপক আকার ধারণ করবে এটা স্পষ্ট ।