দুর্গাপুর, 11এপ্রিল: সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্রবেশে / আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে । সুকুমার রায়ের এই কবিতার লাইন চৈত্রের শেষ লগ্নে যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে ৷ কোথাও 40 ডিগ্রি তাপমাত্রা আবার কোথাও 40 ডিগ্রি ছুঁইছুঁই । নববর্ষের আগে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা । বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর । এই সময় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে অনেকটাই সুস্থ থাকা যাবে ৷
গরমে সুস্থ থাকতে প্রখর সূর্যের তাপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হলে সাদা কাপড় মাথায় জড়িয়ে চশমা পরে বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন । শরীর জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে বারবার ওআসএস মেশানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । চাতক পাখির মতো ঘন মেঘ আর বৃষ্টির আশায় দক্ষিণবঙ্গের মানুষ । শিল্পাঞ্চল থেকে খনি অঞ্চল সকাল হতেই প্রখর রৌদ্রের তাপ । বেলা বাড়তেই রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে । দুর্গাপুরের কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরও গরমে নাভিশ্বাস উঠছে । একে তো কারখানার ভিতরের অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ তার ওপরে সূর্যের এই প্রখর তেজ সব মিলিয়ে শ্রমিকদের নাজেহাল দশা । প্রায়শই শোনা যাচ্ছে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু শ্রমিক ৷ রাস্তা ঘাটে যারা বেরোচ্ছেন তাদেরকে দেখা যাচ্ছে শরীরের বেশিরভাগ অংশ কাপড় ঢেকে যাতায়াত করছেন ।
বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার টি কে রায় বলেন, "সবচেয়ে বেশি সাবধানে রাখতে হবে শিশু এবং বয়স্ক মানুষদের । এই প্রচন্ড গরমে বারবার তাদের শরীর ঠান্ডা জল দিয়ে মুছে দিতে হবে । প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে । ইলেকট্রন মিশ্রিত জল খেতে হবে সবাইকে । সরাসরি রৌদ্রতাপে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয় । ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে একটু বেশি । এই সময় বাচ্চাদের ভাইরাল ফিভার হতে পারে । তাই সতর্ক থাকতে হবে । যারা দিনের অধিকাংশ সময় বাইরে কাটান তাদের তিনবার স্নান করতে হবে ।"
আরও পড়ুন: গরমে বরফ জল গলায় ঢেলে তৃপ্ত হন ? অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করছেন
এই চিকিৎসক আরও জানান, যেভাবে তাপমাত্রার পারদ গত কয়েকদিনে একেবারে ঊর্ধ্বমুখী তাতে হিট স্ট্রোক এবং সান স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি । তাই এই প্রবল গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে পথ চলতি মানুষদের ডাবের জল, আখের রস থেকে ফ্রুট জুস ও লস্যি-সহ বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।