আসানসোল, 26 জুলাই: পশ্চিম বর্ধমানে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি । ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের পলাশডিহাতে ডেঙ্গির ক্লাস্টার নজরে এসেছে । আক্রান্তের সংখ্যা 50 এর বেশি । জানুয়ারি মাস থেকে গোটা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা 130 ছাড়িয়ে গিয়েছে । কিন্তু মশা মারতে কামান দাগাতে এখনও দেখা যায়নি । রাস্তায়, গ্যারাজের টায়ারে আরও বিভিন্ন ছোটখাটো গর্তে জমা জল দেখা যাচ্ছে । তাতে কিলবিল করছে মশার লার্ভা । মাত্র দু'জন পতঙ্গবিদ জেলায় । লার্ভা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা হাঁপিয়ে উঠছেন। জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, ডেঙ্গি প্রতিরোধে তৎপর তারা ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, 20 জুলাইয়ের পর দুর্গাপুরে ডেঙ্গির সংখ্যা 50 ছাপিয়ে গিয়েছে । অন্যদিকে চলতি বছরে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি ধরা পড়েছে 130টি । আসানসোল মহকুমায় সেই সংখ্যা 20 । জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নেই । কিন্তু শহরাঞ্চলে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় জমা জল । গ্যারাজের টায়ার, পরিত্যক্ত পাত্র, এমনকী রাস্তার ধারেও জমা জল চোখে পড়ছে । আর তাতে কিলবিল করছে মশার লার্ভা ।
পতঙ্গবিদরা নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র দু'জন পতঙ্গবিদ রয়েছেন জেলায় । তাঁরা কার্যত এত বড় জেলা জুড়ে হিমশিম খাচ্ছেন নমুনা সংগ্রহ করতে । যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মশার মারার ধোঁয়া বা কামান দাগা শুরু হবে কয়েকদিন পর ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর নগর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি, সরব বিজেপি
অন্যদিকে আসানসোল পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত জানিয়েছেন, পৌরনিগমের আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন । কারও জ্বর জ্বালা হয়েছে কি না খবর নেওয়া হচ্ছে । মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে । মশারি টানানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । যদিও আসানসোল পৌরনিগমের নিকাশি নিয়ে তৎপরতা এখনও তেমন চোখে পড়েনি ।