সালানপুর, 8 এপ্রিল: বাড়ির ছাদে গলাকাটা অবস্থায় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর থানার চিতলডাঙা গ্রামে (Salanpur labour Murder) ৷ মৃত ব্যক্তির নাম মনোজ পাতর (৩৫)। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গণধোলাই দিল গ্রামবাসী। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।
Salanpur labour Murder: বাড়ির ছাদে গলা কাটা দেহ, অভিযুক্তকে গণধোলাই
গলাকাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় সালানপুরে ৷ অভিযুক্ত সন্দেহে এক যুবককে গণধোলাই গ্রামবাসীর (Salanpur labour Murder) ৷ পরে তাকে উদ্ধার করে আটক করল পুলিশ ৷
![Salanpur labour Murder: বাড়ির ছাদে গলা কাটা দেহ, অভিযুক্তকে গণধোলাই Salanpur Murder](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-14961298-thumbnail-3x2-s.jpg?imwidth=3840)
জানা গিয়েছে, সালানপুর থানার চিতলডাঙা গ্রামে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন মনোজ ৷ তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। মনোজ পাতরের স্ত্রী মুনমুন পাতর জানিয়েছেন, গরমের কারণে গতকাল রাতে ছাদে শুয়েছিলেন মনোজ ৷ গভীর রাতে তিনি ছাদে কারও একটা আওয়াজ শুনতে পান। এরপরই তিনি প্রতিবেশীদের চিৎকার করে ডাকেন। তাঁর চিৎকার শুনে ছাদ থেকে কেউ ঝাঁপ দিয়ে পালায় এমনটাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু ভয়ে ছাদে উঠতে পারেননি। প্রতিবেশীরা আসার পর ছাদে উঠে দেখেন তাঁর স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দেহ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মনোজের।
ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ৷ শুক্রবার সকালে পুলিশ এসে মনোজ পাতরের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় । স্ত্রী মুনমুন পাতর জানান, স্থানীয় সামডি গ্রামের নিরঞ্জন পাল এবং কাঞ্চন পাল নামে দুই যুবক গত সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে শাসিয়ে গিয়েছিল ৷ তারা দেখে নেব বলেছিল। আমার স্বামীর কাছে তারা কিছু টাকা পেত। ওরাই খুন করেছে আমার স্বামীকে।অন্যদিকে এই ঘটনা ঘটার পরই গ্রামের শেষ প্রান্তে দেখা যায় দুই পায়ে আঘাত নিয়ে অভিযুক্ত নিরঞ্জন পাল বসে আছে। গ্রামবাসীরা অনুমান করেন ছাদ থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েই পায়ে আঘাত পেয়েছে নিরঞ্জন। তাকে দেখতে পেয়েই ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। চলে উত্তম মধ্যম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের সামনেই অভিযুক্তকে গণধোলাই দেয় গ্রামবাসী । পুলিশ কোনওমতে নিরঞ্জনকে উদ্ধার করে আটক করেছে । অভিযুক্ত নিরঞ্জন পালকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে সালানপুর থানার পুলিশ।
সালানপুর, 8 এপ্রিল: বাড়ির ছাদে গলাকাটা অবস্থায় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর থানার চিতলডাঙা গ্রামে (Salanpur labour Murder) ৷ মৃত ব্যক্তির নাম মনোজ পাতর (৩৫)। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গণধোলাই দিল গ্রামবাসী। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।
জানা গিয়েছে, সালানপুর থানার চিতলডাঙা গ্রামে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন মনোজ ৷ তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। মনোজ পাতরের স্ত্রী মুনমুন পাতর জানিয়েছেন, গরমের কারণে গতকাল রাতে ছাদে শুয়েছিলেন মনোজ ৷ গভীর রাতে তিনি ছাদে কারও একটা আওয়াজ শুনতে পান। এরপরই তিনি প্রতিবেশীদের চিৎকার করে ডাকেন। তাঁর চিৎকার শুনে ছাদ থেকে কেউ ঝাঁপ দিয়ে পালায় এমনটাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু ভয়ে ছাদে উঠতে পারেননি। প্রতিবেশীরা আসার পর ছাদে উঠে দেখেন তাঁর স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দেহ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মনোজের।
ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ৷ শুক্রবার সকালে পুলিশ এসে মনোজ পাতরের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় । স্ত্রী মুনমুন পাতর জানান, স্থানীয় সামডি গ্রামের নিরঞ্জন পাল এবং কাঞ্চন পাল নামে দুই যুবক গত সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে শাসিয়ে গিয়েছিল ৷ তারা দেখে নেব বলেছিল। আমার স্বামীর কাছে তারা কিছু টাকা পেত। ওরাই খুন করেছে আমার স্বামীকে।অন্যদিকে এই ঘটনা ঘটার পরই গ্রামের শেষ প্রান্তে দেখা যায় দুই পায়ে আঘাত নিয়ে অভিযুক্ত নিরঞ্জন পাল বসে আছে। গ্রামবাসীরা অনুমান করেন ছাদ থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েই পায়ে আঘাত পেয়েছে নিরঞ্জন। তাকে দেখতে পেয়েই ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। চলে উত্তম মধ্যম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের সামনেই অভিযুক্তকে গণধোলাই দেয় গ্রামবাসী । পুলিশ কোনওমতে নিরঞ্জনকে উদ্ধার করে আটক করেছে । অভিযুক্ত নিরঞ্জন পালকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে সালানপুর থানার পুলিশ।