দুর্গাপুর, 7 জুলাই: বুথে ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্স সাজাচ্ছেন প্রিসাইডিং অফিসার ও ভোটকর্মীরা ৷ তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে শিবপুরের দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বুথের মধ্যে ঢুকে পড়লেন কাঁকসার দুই তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্মী বাগদি ও স্বপন সূত্রধর ৷ সশস্ত্র বাহিনী থাকলেও প্রার্থীরা কীভাবে বুথে প্রবেশ করলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ সমালোচনায় সরব বিরোধীরা ৷
তৃণমূল প্রার্থী স্বপন সূত্রধরের দাবি, তাঁরা ভোট কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সারতে এসেছিলেন ৷ এলাকায় কোনও রকম সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি ৷ তৃণমূল প্রার্থীদের পাশাপাশি বিজেপি ও সিপিএম এজেন্টরাও বসবেন ৷ তৃণমূল প্রার্থী স্বপন সূত্রধর বলেন, "আমরা ভোট কর্মীদেরকে আশ্বাস দিতে এসেছিলাম, এই এলাকা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় এলাকা ৷ কোনও বিশৃঙ্খলার ঘটনা আজ পর্যন্ত ঘটেনি" ৷ তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিনে তৃণমূল প্রার্থীদের এমন আচরণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: 'বিজেপি ভাতে মারতে চাইছে', শেষ লগ্নেও ভোট পেতে ফোন কলে প্রচার তৃণমূলের
সিপিএমে নেতা পঙ্কজ রায় সরকার জানান, তিনি খবর পেয়েছেন, কাঁকসার বিভিন্ন হোটেল, অতিথিশালাগুলিতে বহিরাগতদেরকে এনে রাখা হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, ফরিদপুরে প্রায় প্রত্যেকটি ব্লকে আমাদের নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের ভয় দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ একদিকে, শাসকদল যখন বলছে নির্বিঘ্নে ভোট হবে আর অন্যদিকে ভোটের আগের রাতেই সদলবলে তৃণমূল প্রার্থীরা বুথের ভিতরে ঢুকে পড়ছেন !"
তিনি আরও জানান, পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী কারও বাধার মুখেই পড়তে হয়নি ওই তৃণমূল নেতাদের ৷ এর থেকেই বোঝা যায়, ভোটের দিন গণতান্ত্রিক অধিকার কতটা রক্ষা হবে ৷ জানা গিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং সিপিএম দুই দল নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবে ৷ তৃণমূলের দাবি, "ছবি থেকেই স্পষ্ট আমরা অন্যায় কোন কাজ করতে যায়নি ৷"
আরও পড়ুন: সফরসূচিতে তিন জেলা, নির্বাচনের দিনও রাস্তায়-রাস্তায় রাজ্যপাল