দুর্গাপুর, 17 অগস্ট: পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডাল থানার হরিশপুর বাউরিপাড়া এলাকায় আবারও ধসের কারণে ভেঙে পড়ল কংক্রিটের ছাদ ৷ দেখা দিল বহু ঘরে ফাটল। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
হরিশপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ তিন বছর পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েও এখনো সুরাহা মেলেনি । 2020 সালে অণ্ডাল থানা এলাকার হরিশপুর গ্রামে এক রাতে সেই গ্রামের বহু কংক্রিটের বাড়ি ধসের কারণে গভীর গহ্বরে ঢুকে পড়ে। পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পাশের কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রবল বিস্ফোরণের জেরে একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিতে শুরু হয়। সেই সময় বহু মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পরিবার গবাদি পশু নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
কিন্তু অসহায়, দরিদ্র পরিবারের মানুষজন জীবন হাতে নিয়ে ফের ওই গ্রামেই থেকে যেতে বাধ্য হন। সেই থেকে একইভাবে হরিশপুর এলাকায় ফাটল ও ধসের ঘটনাতে এলাকার মানুষ বারবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ তাতে এখনও পর্যন্ত শুধুই আশ্বাস মিলেছে, মেলেনি পুনর্বাসন। বুধবার গভীর রাতে হরিশপুর বাউরিপাড়ার বাসিন্দারা যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় হঠাৎ বিকট আওয়াজ। কেঁপে ওঠে ঘরবাড়ি। আচমকায় বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে বাড়ির দেওয়াল থেকে ছাদ। ঘুমন্ত মানুষগুলো আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে ফাটল।
একটি কংক্রিটের বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে। ওই বাড়িতে দশ জন সদস্য থাকলেও যে ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে সৌভাগ্যবশত সেই ঘরে কেউ ছিলেন না সেই সময়। তা না-হলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এত বড় ঘটনার পরেও বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত কোনও ইসিএল আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ হরিশপুরের বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন্ত পালের অভিযোগ, 2020 সাল থেকেই এরকম ঘটনা লাগাতার ঘটছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষ কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত আমরা পুনর্বাসন পেলাম না। গতকাল রাতে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আবারও হল। ধসের ছাদ ভেঙে পড়ল ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির এক সদস্য জানান, গতকাল রাতে ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালেও দেখা গেল তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। তিনিও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পাথুরিয়াঘাটায় পুরনো বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনা! মৃত্যু এক মহিলার