ETV Bharat / state

কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র তৈরি খনি শ্রমিকের - ইসিএল

বার বার বলা সত্ত্বেও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেননি ECL কর্তৃপক্ষ । তাই সহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র তৈরি করলেন কয়লা খনির এক শ্রমিক ।

Sanitizer Walkway Machine
স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র
author img

By

Published : Apr 14, 2020, 11:24 AM IST

রানিগঞ্জ, 14 এপ্রিল : লকডাউনের সময়ও কাজে অব্যাহতি নেই । জরুরি পরিষেবা হিসেবে চলছে ECL-এর কয়লা উত্তোলনের কাজ । অথচ কয়লা খনির শ্রমিকদের সুরক্ষায় দেওয়া হয়নি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । তাই এবার সহকর্মীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করলেন ECL-এর সাতগ্রামের নিমচা কোলিয়ারির এক খনি শ্রমিক । তৈরি করলেন স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র ।

জরুরি পরিষেবার হওয়ায় লকডাউনেও বন্ধ হয়নি কয়লা উত্তোলনের কাজ । তাই প্রতিদিনই শ্রমিকরা কাজে আসছেন এবং কয়লা উত্তোলন করছেন । কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের সুরক্ষার দিকে কোনও নজরই দেওয়া হচ্ছে না । এমনকী, দেওয়া হয়নি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারও । বার বার দাবি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । তাই সহকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে এগিয়ে আসেন সাতগ্রামের নিমচা কোলিয়ারির এক খনি শ্রমিক । নাম সাহিল খান । সহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৈরি করলেন স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র । নিমচা কোলিয়ারির তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সাহায্যে এই যন্ত্রটি তৈরি করেন সাহিল । প্রতিদিন কয়লাখনিতে নামার সময় ও কয়লা খনি থেকে বেরিয়ে আসার পর এই যন্ত্রে থাকা পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের শরীরে স্যানিটাইজ়ার স্প্রে করা হচ্ছে । এই অভিনব যন্ত্র নিয়ে খুশি অন্যান্য শ্রমিকরা । ইতিমধ্যে সাহিল খানের তৈরি যন্ত্রটি অন্যান্য কয়লা খনির জন্য তৈরি করার আবেদন করা হয়েছে ECL কর্তৃপক্ষের তরফে ।

সাহিল খান বলেন, "স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্রটি দেখতে ঠিক স্টেশনের লাইট ডিটেক্টর গেটের মতোই । যন্ত্রটির ভিতরে ঢুকলেই মাথার উপর পাইপ লাইনের সাহায্যে তিনটি নল দিয়ে বেরিয়ে আসবে জীবাণুমুক্ত ইথাইল অ্যালকোহল গ্লিসারিন ও ডিটারজেন্ট কনটেন্ট মিলিয়ে তৈরি করা স্যানিটাইজ়ার স্প্রে । স্যানিটাইজ়ার স্প্রের সাহায্যে গোটা শরীরকে ভিজিয়ে দেওয়া হবে । তারপর হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই যন্ত্রটি পুরোপুরি ইলেকট্রিকের সাহায্যে কাজ করছে । এই যন্ত্রটি নিমচা কোলিয়ারির ল্যাম্প রুমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"

নিমচা কোলিয়ারির তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অর্জুন সিং বলেন, "ECL-র কয়লা খনি শ্রমিকদের কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই । ECL-এর তরফে শ্রমিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ও মাস্ক দেওয়া হয়নি । শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আমাদেরই কোলিয়ারির শ্রমিক সাহিল স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র তৈরি করার কথা বলেন । ওই কয়লা শ্রমিককে আমরা সব রকমের সাহায্য করি ওই যন্ত্রটি তৈরি করার জন্য । ইতিমধ্যেই অন্যান্য কয়লাখনিগুলিতে এই ধরনের যন্ত্র তৈরি করার জন্য অনেকেই আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ।"

রানিগঞ্জ, 14 এপ্রিল : লকডাউনের সময়ও কাজে অব্যাহতি নেই । জরুরি পরিষেবা হিসেবে চলছে ECL-এর কয়লা উত্তোলনের কাজ । অথচ কয়লা খনির শ্রমিকদের সুরক্ষায় দেওয়া হয়নি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । তাই এবার সহকর্মীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করলেন ECL-এর সাতগ্রামের নিমচা কোলিয়ারির এক খনি শ্রমিক । তৈরি করলেন স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র ।

জরুরি পরিষেবার হওয়ায় লকডাউনেও বন্ধ হয়নি কয়লা উত্তোলনের কাজ । তাই প্রতিদিনই শ্রমিকরা কাজে আসছেন এবং কয়লা উত্তোলন করছেন । কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের সুরক্ষার দিকে কোনও নজরই দেওয়া হচ্ছে না । এমনকী, দেওয়া হয়নি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারও । বার বার দাবি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । তাই সহকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে এগিয়ে আসেন সাতগ্রামের নিমচা কোলিয়ারির এক খনি শ্রমিক । নাম সাহিল খান । সহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৈরি করলেন স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র । নিমচা কোলিয়ারির তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সাহায্যে এই যন্ত্রটি তৈরি করেন সাহিল । প্রতিদিন কয়লাখনিতে নামার সময় ও কয়লা খনি থেকে বেরিয়ে আসার পর এই যন্ত্রে থাকা পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের শরীরে স্যানিটাইজ়ার স্প্রে করা হচ্ছে । এই অভিনব যন্ত্র নিয়ে খুশি অন্যান্য শ্রমিকরা । ইতিমধ্যে সাহিল খানের তৈরি যন্ত্রটি অন্যান্য কয়লা খনির জন্য তৈরি করার আবেদন করা হয়েছে ECL কর্তৃপক্ষের তরফে ।

সাহিল খান বলেন, "স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্রটি দেখতে ঠিক স্টেশনের লাইট ডিটেক্টর গেটের মতোই । যন্ত্রটির ভিতরে ঢুকলেই মাথার উপর পাইপ লাইনের সাহায্যে তিনটি নল দিয়ে বেরিয়ে আসবে জীবাণুমুক্ত ইথাইল অ্যালকোহল গ্লিসারিন ও ডিটারজেন্ট কনটেন্ট মিলিয়ে তৈরি করা স্যানিটাইজ়ার স্প্রে । স্যানিটাইজ়ার স্প্রের সাহায্যে গোটা শরীরকে ভিজিয়ে দেওয়া হবে । তারপর হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই যন্ত্রটি পুরোপুরি ইলেকট্রিকের সাহায্যে কাজ করছে । এই যন্ত্রটি নিমচা কোলিয়ারির ল্যাম্প রুমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"

নিমচা কোলিয়ারির তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অর্জুন সিং বলেন, "ECL-র কয়লা খনি শ্রমিকদের কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই । ECL-এর তরফে শ্রমিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ও মাস্ক দেওয়া হয়নি । শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আমাদেরই কোলিয়ারির শ্রমিক সাহিল স্যানিটাইজ়ার ওয়াকওয়ে যন্ত্র তৈরি করার কথা বলেন । ওই কয়লা শ্রমিককে আমরা সব রকমের সাহায্য করি ওই যন্ত্রটি তৈরি করার জন্য । ইতিমধ্যেই অন্যান্য কয়লাখনিগুলিতে এই ধরনের যন্ত্র তৈরি করার জন্য অনেকেই আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.