দুর্গাপুর, 4 ডিসেম্বর: এবার শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির (INTUC) গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে । অস্বস্তিতে পড়ল জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব । শনিবার দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীতে এএসপি ঠিকা মজদুর কংগ্রেসের বাৎসরিক সভা অনুষ্ঠিত হয় । পরদিন অর্থাৎ রবিবার ফের দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর হোস্টেল অ্যাভিনিউতে আইএনটিইউসির অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের বাৎসরিক সভা (Annual Meeting) অনুষ্ঠিত হয়। যাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (INTUC Factionalism) ।
এসপি ঠিকা মজদুর কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে সভা করছে অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ান। অন্যদিকে অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতৃত্বের দাবি, অন্যান্য বছরের মতো তারা এ বছরও এই বাৎসরিক সভার আয়োজন করেছেন। আলোয় স্টিল ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভা চলাকালীন সভাস্থলের বাইরে 'অবৈধ সভা' বলে স্লোগান শুরু করে এসপি ঠিকা মজদুর কংগ্রেস নেতৃত্ব। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে স্লোগান দেওয়া ৷ এর ফলে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় । ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ ।
উল্লেখ্য, বর্ধমান জেলায় এক সময় আইএনটিইউসির সভাপতি ছিলেন বিকাশ ঘটক । মূলত অ্যালয় স্টিল কারখানার আইএনটিইউসির সমস্ত দায়িত্বভার বহুকাল ধরেই তিনি বহন করে আসছেন । কিন্তু বিকাশ কয়েকমাস আগে মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন । তারপর আইএনটিইউসি রাজ্য নেতৃত্ব নতুন করে জেলা কমিটি তালিকা প্রকাশ করেন। আর তাতে বিকাশ ঘটককে রাখা হয়নি আইএনটিইউসি সভাপতি হিসাবে। এরপর অ্যালয় স্টিল কারখানার বাৎসরিক সভা বিকাশ ঘটকের পৌরহিত্যে আয়োজিত হওয়াকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে । পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশকে ।
আরও পড়ুন: ফের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক মৃত্যু, দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন দেহ
বিকাশ ঘটক বলেন, "আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও আইএনটিইউসি ছিলাম, আছি এবং থাকব ।" অন্যদিকে বিকাশ ঘটকের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা দীপ্ত দে'র বলেন, "বিকাশ অ্যালয় স্টিল কারখানাকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করেন । তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন । আইএনটিইউসির কোনও কমিটিতে তাঁর নাম নেই । আজকের বাৎসরিক সম্মেলনে কোন রাজ্য বা জেলার নেতা তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন না । তাহলে তিনি কীভাবে বাৎসরিক সম্মেলন করতে পারেন?"