আসানসোল, 18 ফেব্রুয়ারি: আসানসোলের হোটেল ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগতকে খুনের (Hotel Owner Murder Case) ঘটনায় তদন্তে নামল সিআইডি (CID Team at Asansol) ৷ কলকাতার ভবানী ভবন থেকে শনিবার সকালে সিআইডির কয়েকজন আধিকারিক-সহ মোট 6 জনের একটি প্রতিনিধিদল আসানসোল পৌঁছয় ৷ ঘটনাস্থল খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৷ কথা বলেন হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে ৷ উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের হোটেলের লবিতেই খুন হন অরবিন্দ ৷ হঠাৎই হোটেলে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এখনও দু'জনের নাগাল পায়নি পুলিশ ৷ আততায়ীদের খোঁজে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে ৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের হোটেলের লবিতে বসেছিলেন অরবিন্দ ভগত ৷ সেই সময়েই তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয় ৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি করতে থাকে দুই আততায়ী ৷ তাঁর শরীরে অন্তত 5টি গুলি লেগেছে বলে দাবি সূত্রের ৷ ঘটনার পর প্রথমে তাঁকে আসানসোলের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে রেফার করা হয় অরবিন্দকে ৷ কিন্তু, পথে অ্য়াম্বুল্য়ান্সেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷
আরও পড়ুন: ভরসন্ধ্যায় শুটআউট ! এলোপাথাড়ি গুলি করে হোটেল মালিককে খুন
যে হোটেলে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে অদূরেই রয়েছে আসানসোল পুলিশ লাইন এবং আসানসোল সাউথ পুলিশ পোস্ট ৷ ঘটনাস্থল থেকে মাত্র 1 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কার্যালয় ৷ শুধু তাই নয় ৷ ঘটনাস্থল থেকে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের আবাসনের দূরত্ব মাত্র 200 মিটার ৷ এমন একটি জায়গায় এই ঘটনা ঘটিয়ে দুষ্কৃতীরা যেভাবে বিনা বাধায় বুক ফুলিয়ে চম্পট দিল, তাতে আমজনতার মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ৷ প্রশ্ন উঠছে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে ৷
পুলিশ মহলের একাংশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা এই 'অপারেশন' চালানোর পর সহজেই জেলা বা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে ৷ কারণ, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন পথে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পৌঁছতে সময় লাগে কম-বেশি 30 মিনিট ৷ এই প্রেক্ষাপটে শনিবার সকালে সিআইডির প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷