আসানসোল, 3 অক্টোবর : কোরোনা পরিস্থিতিতেও বারবার কাজের পারদর্শিতা প্রমাণ করেছেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিকরা । লকডাউনেও তাঁরা 100 টি ইঞ্জিন বানিয়ে ইতিমধ্যেই নজির গড়েছেন । এবার দুটি এরোডায়নামিক ডিজ়াইনের তেজস ইঞ্জিন বানিয়ে চমকে দিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (CLW) । এই ধরনের ইঞ্জিন CLW প্রথমবার তৈরি করল। এই জোড়া ইঞ্জিন ঘণ্টায় 160 কিলোমিটার বেগে কোনও প্রিমিয়াম ট্রেনকে “পুশ-পুল” পদ্ধতিতে নিয়ে যেতে সক্ষম ।
WAP-5(ইঞ্জিন নম্বর 35012 এবং 35013) এই জোড়া তেজস ইঞ্জিন গতকাল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে গাজিয়াবাদের উদ্দেশে রওনা হয়েছে । কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জোড়া ইঞ্জিনের প্রত্যেকটি 6000 অশ্বশক্তি সম্পন্ন আধুনিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত । এরোডায়নামিক ডিজ়াইনের ইঞ্জিন দুটি অত্যাধুনিক IGBT প্রযুক্তির মাধ্যমে “পুশ-পুল” টেকনোলজির ব্যবহারে ঘণ্টায় 160 কিমি বেগে যে কোনও প্রিমিয়াম যাত্রীবাহী গাড়িকে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম । অর্থাৎ ইঞ্জিনগুলি একটি ট্রেনের সামনে আরেকটি ট্রেনের পিছনে থাকবে । একটি ট্রেনকে টেনে নিয়ে যাবে অন্যটি পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের গতি বাড়াবে । পাহাড় বা উঁচু জায়গার ক্ষেত্রেও দুটি তেজস ইঞ্জিন থাকায় গতি কম হবে না । CLW-র মুখপাত্র মন্তার সিং বলেন, "এই ইঞ্জিনগুলি থেকে সরাসরি কোচ ও প্যান্ট্রি কারে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ফলে পৃথক ডিজ়েল পাওয়ার জেনারেটার কারের প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না ।"
এই দুটি তেজস ইঞ্জিন শব্দহীন, দূষণমুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব ইঞ্জিন । আগামী দিনে দেশের প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে এই ইঞ্জিন ব্যবহৃত হবে বলে জানা গিয়েছে ।