আসানসোল, 1 ফেব্রুয়ারি: বেআইনি দেশি মদের ঠেক ভাঙতে আবগারি দফতরের অভিযান (Excise Department Raid) ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার অন্তর্গত টালিপাড়া এলাকায় ৷ আবগারি বিভাগের আধিকারিক ও পুলিশবাহিনী এদিন অভিযান চালায় ৷ মোট 16টি ভ্যানে শতাধিক কর্মী নিয়ে এই অভিযান চালায় আবগারি দফতর ৷ কিন্তু, সেই অভিযান চলাকালীন গ্রামবাসীর একাংশের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় সরকারি আধিকারিকদের ৷ জবাবে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ অভিযোগ, মহিলা, পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে সকলকেই লাঠিপেটা করা হয় ! যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবগারি দফতরের যুগ্ম কমিশনার সুরজিৎ সরকার ৷ অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর সৌরভ মাজির নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই আসানসোল পৌরনিগমের 68 এবং 102 নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন টালিপাড়া এলাকায় বেআইনি দেশি মদের ঠেক ভাঙতে অভিযানে নেমেছিলেন আবগারি বিভাগের আধিকারিকরা ৷ রাতের বেলা সেই অভিযানে নেমেছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু, গ্রামবাসীর প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের ৷ এমনকী, সেই সময় কয়েকজন আধিকারিককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ এমনকী, বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও রাজি হননি আবগারি আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: ইটিভি ভারতের খবরের জের! চোলাই মদের ঠেকে অভিযান পুলিশের
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার বিকেলে হঠাৎই টালিপাড়ায় পৌঁছন আবগারি বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকরা ৷ তাঁদের এলাকায় দেখেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন টালিপাড়ার বাসিন্দারা ৷ অভিযোগ, এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ শুরু করে দেয় ৷ মুহূর্তে এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় ৷ পরবর্তীতে পুলিশ ও আবগারি আধিকারিকরা এলাকা ছাড়তেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আসানসোল পৌরনিগমের 102 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌরভ মাজির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলছে ৷
এই বিষয়ে সৌরভ মাজি বলেন, "আবগারিবাহিনী নির্বিচারে মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে ৷ এখানকার কোনও যুবক কিংবা মহিলা মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন ৷ কিন্তু আবগারিবাহিনী নির্বিচারে অত্যাচার চালিয়েছে ৷ আমরা এর বিচার চাই ৷ যতক্ষণ না পুলিশ এখানে এসে সঠিক তদন্তের আশ্বাস না দিচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের বিক্ষোভ চলবে ৷"
অন্যদিকে, আবগারি বিভাগের যুগ্ম কমিশনার সুরজিৎ সরকার বলেন, "কয়েক দিন আগেই এই অঞ্চলে আমাদের কর্মী ও আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ৷ বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করতেই আমাদের এই অভিযান ৷ কোথাও কোনও লাঠিচার্জ হয়নি ৷"