দুর্গাপুর, 29 মার্চ : গত বিধানসভা নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী হিংসা দেখেছে বঙ্গ ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, বেশিরভাগ জায়গাতে ভোটই দিতে পারেনি বিরোধীরা ৷ ফলে এবার শুরু থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ (Central force starts route march in Asansol) ৷ সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে রুট মার্চের সময় বার্তা দিলেন, ‘নির্বিঘ্নে ভোট দিন । কেউ ভয় দেখালে আমাদের বলুন ৷’
তারমধ্যেই এদিন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিজিত ধরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন । প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন উপনির্বাচনী আধিকারিক সুমন্ত রায় ও উপনির্বাচনী আধিকারিক সুব্রত পাল ।
12 এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন । দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর হয়ে উঠছে প্রশাসন । ভোটের আগে ও ভোটের দিন যাতে কোথাও কোনও রকম অশান্তি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিভিন্ন জায়গায় পর্যায়ক্রমে রুটমার্চ শুরু করেছে । শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর কমিশনও । ইতিমধ্যেই তাদের তরফে জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা ।
আরও পড়ুন : আসানসোল উপনির্বাচনের আগে নাকা চেকিংয়ে উদ্ধার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা
সোমবার সন্ধ্যায় দেখা গেল অন্ডাল ব্লকের খাঁদরা ও উখরা, দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার জেমুয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ । জেমুয়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত এবং অন্ডালের এসিপি তাহিদ আনোয়ার । আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনও বিচ্যুতি না ঘটে তাই নির্বাচন কমিশন আসানসোলের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছে । তিন সদস্যের দল বৈঠক করবেন জেলাশাসক-সহ পুলিশ সুপার ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে। শেষ মুহূর্তে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আসানসোলের পাশাপাশি ভোট রয়েছে বালিগঞ্জেও ৷ ঠিক হয়েছে, যে ভোটকেন্দ্রে 1টি বুথ আছে সেখানে 4 জন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পাহারায় থাকবেন। যে ভোট কেন্দ্রে দুই থেকে চারটি বুথ রয়েছে সেখানে থাকবে 1 সেকশন বাহিনী । 5 থেকে 8টি বুথের ভোটকেন্দ্রে থাকবে 2 সেকশন অর্থাৎ 16 জনের বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে 9টি এবং তার বেশি বুথে থাকলে সেখানকার দায়িত্বে থাকবে 3 সেকশন অর্থাৎ 25 জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ৷
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর জন্য এবার জেড প্লাস নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেন্দ্রের
এছাড়াও 1 সেকশন করে বাহিনী থাকবে কিউআরটি (কুইক রেসপন্স টিম)-র জন্য। ভোটের দিন দুই কেন্দ্রের সমস্ত সরকারি, আধাসরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, বেসরকারি স্কুল-সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকবে। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আগামী 12 এপ্রিল আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। সেই কারণে এনআই অ্যাক্ট অনুসারে ওই দিন এই দুই কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দুই কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোলিং স্টেশন তৈরি করা হবে। পোলিং স্টেশন তৈরি করা হবে ওই দুই কেন্দ্রের সরকারি দফতরেও। যদিও ওই কেন্দ্রের কোনও ভোটার অন্যত্র থাকেন, তাঁর ক্ষেত্রে 12 এপ্রিল বিশেষ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজনে ওই দুই কেন্দ্রে পুনর্নিবাচন হলে দিনটি বিশেষ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।