আসানসোল, 5 নভেম্বর: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরা করতে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে (Asansol Special Correctional Home) পৌঁছল সিবিআই (CBI)-এর প্রতিনিধিদল ৷ শনিবার প্রথমে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে (Special CBI Court) যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (Central Bureau of Investigation) তদন্তকারীরা ৷ তারপর সেখান থেকেই আসানসোল সংশোধনাগারে আসেন তাঁরা ৷ এদিনের সিবিআই প্রতিনিধিদলে মোট দু'জন সদস্য রয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে টানা 37 দিন সংশোধনাগারে থাকার পর গত 29 অক্টোবর অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক দু'পক্ষের সওয়াল জবাবের পর অনুব্রত মণ্ডলকে ফের বিচার বিভাগীয় বা জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ সেই অনুসারে, আগামী 11 নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে আবার আদালতে তোলা হবে ৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই ৷ তাদের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম দিকে তদন্তে একেবারেই সবযোগিতা করছিলেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ৷ এ নিয়ে আদালতে অভিযোগও করেন সিবিআই-এর আইনজীবী ৷ কিন্তু, সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, শেষবারের জেরায় অনুব্রত কিছুটা হলেও মুখ খুলেছেন ৷ বেশ কিছু প্রশ্নের তিনি উত্তর দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে শনিবার ফের তাঁকে জেরা করে নতুন তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবে সিবিআই ৷
আরও পড়ুন: সায়গল তিহাড়ে, আসানসোল সিবিআই আদালতে তাঁর শুনানি
এদিকে, গরুপাচার মামলার রেশ ধরেই সঙ্গতিহীন আয়ের অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ তবে, তাঁকে আপাতত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED)-এর মোকাবিলা করতে হচ্ছে ৷ শনিবারও দিল্লিতে ইডি-এর সদর দফতরের হাজিরা দেন সুকন্য়া ৷ এই নিয়ে পর পর তিনদিন তাঁকে জিজ্ঞাবাদ করা হল ৷ সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্য়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৷ কিন্তু, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি ৷ কারণ, সুকন্যা অধিকাংশ প্রশ্নেরই উত্তর দেননি ৷ বহু প্রশ্নেই তাঁর জবাব ছিল, উত্তর তাঁর বাবার জানা থাকতে পারে ! কিন্তু, তিনি কিছু জানেন না !
অন্যদিকে, সায়গল হোসেনের বিড়ম্বনাও ক্রমশ বাড়ছে ৷ আসানসোলের সংশোধনাগারে ফেরার আবেদন জানিয়ে দিল্লির আদালতে আবেদন করেছিলেন সায়গল ৷ কিন্তু, আদালত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ বদলে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে ৷ ফলে সব মিলিয়ে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের উপর চাপ ক্রমশ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ৷