আসানসোল, 3 জানুয়ারি: কেন্দ্র সরকারের 'হিট এন্ড রান' -এর নতুন আইনের বিরুদ্ধে সবর বাস চালক ও কর্মীরা ৷ বুধবার সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মিছিল করে তৃণমূল মোটর ওয়ার্কাস ইউনিয়ন । কোথাও বাস বন্ধ করে, কোথাও আংশিক বন্ধ রেখে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বাস চালক ও কর্মীরা ।
এদিকে সকাল থেকে ধর্মঘটের জেরে নাজেহাল হন নিত্যযাত্রী থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়ারা ৷ যদিও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, "আমরা পরিষেবা বজায় রেখেই বিজেপি কালা আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি । জায়গায় জায়গায় পরিষেবা সচল ছিল ৷"
অন্যদিকে জেলার দুর্গাপুরে দেখা গেল বাস ধর্মঘটের ছবি । মিনিবাসের পাশাপাশি দূরপাল্লার গাড়িগুলো ধর্মঘটে সামিল হয় ৷ তবে দুর্গাপুর থেকে সরকারি বাস চলাচল করলেও দূরপাল্লার বিভিন্ন রূটের বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন ৷ দুর্গাপুরে প্রায় 200টি মিনিবাস বিভিন্ন রূটে চলাচল করে। সেই সমস্ত বাস বন্ধ থাকার কারণে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় যাত্রী পরিবহণ।
বীরভূমের সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি চালকরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়। তাদের তরফ থেকে এদিন কোনওরকম যানবাহন বের করা হয়নি। এর ফলে রীতিমত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। বাস চালকদের এই সিদ্ধান্তের রাস্তায় আটকে পড়েন অনেকে ৷ নাজেহাল হন নিত্যযাত্রীরা ৷
পূর্ব বর্ধমানে সকালের দিকে বাস চলাচল শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরেই তা বন্ধ হয়ে যায় । অভিযোগ, বর্ধমান-বাঁকুড়া, বর্ধমান-আরামবাগ রুটের বাসকে দক্ষিণ দামোদর এলাকায় ট্রাক চালকেরা আটকে দেন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস চলাচল । ফলে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা ৷
বাস মালিক শান্তনু গুপ্ত বলেন, "এদিন বাস চলাচল ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শুরু হয়েছিল। বর্ধমান শহরের আলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে ট্রাক চালকেরা সেই বাস আটকে দেয়। ফলে বাস ঘুরে ফের বর্ধমানের ডিপোতে ফিরে আসে। আগে থেকে বাস চলবে না এই ধরনের নোটিশ তাদের কাছে ছিল না। যদিও শুনেছি ট্রাক ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই খবর হয়তো সঠিকভাবে সকলের কাছে পৌঁছয়নি। সেই কারণেই হয়তো ট্রাক চালকেরা পথে নেমেছে। আশা করি বৃহস্পতিবার থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।"
আরও পড়ুন: