দুর্গাপুর, 19অক্টোবর : "সন্ধান চাই" । BJP সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার ছবি দিয়ে পোস্টার ও ব্যানার পড়ল দুর্গাপুর শহর জুড়ে ৷ দু'দিন আগে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আর আজ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে ব্যানার টাঙানো হল শহরজুড়ে । পালটা আক্রমণ করেছেন BJP-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ৷ কোরোনা পরিস্থিতির মাঝে BJP সাংসদ দুর্গাপুরের জন্য কী কী করেছেন তারও খতিয়ান দেন তিনি ৷
তৃণমূলের অভিযোগ, কোরোনা পরিস্থিতিতে সাংসদ একবারের জন্যও দুর্গাপুরে আসেননি । ভোটে জেতার পর তিনি উধাও হয়ে গেছেন । শাসকদলের পক্ষ থেকে দু’দিন আগেই কোকওভেন থানায় তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় । আজ শহরজুড়ে BJP সাংসদের ছবি দিয়ে "সন্ধান চাই " ব্যানার দেওয়া হয় ।
শ্রমিক সংগঠনের নেতা জয়ন্ত রক্ষিতের অভিযোগ, ‘‘মারাত্মক কোরোনা পরিস্থিতিতে এই এলাকার বাসিন্দাদের ভোটে জয়ী সাংসদ একবারের জন্য এলাকায় আসেননি । উনি ভোট পাখি । ভোট পেয়ে উড়ে গেছেন । তাই দুর্গাপুরের মানুষ তাঁর সন্ধান চাইছে । আমরা তাই তাঁর সন্ধান চেয়ে এই ব্যানার দিলাম ।’’
পালটা বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, "এর আগে তৃণমূল সাংসদ মমতাজ সংঘমিত্রাকে কতবার আসতে দেখা গেছে? আলুওয়ালিয়াজি কাজের মানুষ । 70 বছর বয়স তাঁর । উনি এলেই ভিড় হবে । উনি কাজ করছেন । দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালকে অর্থদান, 2 নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের সংস্কারের জন্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন,পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়ে ঘরে ফেরানো সহ বহু কাজ করছেন । উনি এলেন কি না তার থেকেও বড় উনি দুর্গাপুরের জন্য কী কী করছেন । শাসকদল নাটক করছে ।"
এই বিষয়ে এস এস আলুওয়ালিয়া বলেন,"একজন সাংসদ তাঁর গোটা এলাকায় সবসময় যেতে পারেন? আমি কী করছি তা আমার লোকসভার যাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তাঁরা জানেন । ক্যানসারে ভুগতে থাকা অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়া মানুষ জানে । রাস্তা সংস্কারের সঙ্গে জড়িতরা জানে । ASP, DSP-র কর্মীরা জানেন আমি কী করছি । আর আমায় কোরোনা পরিস্থিতিতে সব জায়গা যেতে হবে ? তার থেকেও বড় আমাদের মজবুত সংগঠন আছে ৷ সংগঠনের লোক বাড়ি বাড়ি পৌঁছেছেন । আসলে এরা ভয় পাচ্ছে । তাই এসব ঘৃণ্য রাজনৈতিক নাটক করছে ।"