দুর্গাপুর, 5 অগস্ট: দুর্গাপুর আর দুর্গাপুজো এই দুইয়ের মধ্যে সমার্থক সম্পর্ক খুঁজে পান বহু মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলির মধ্যে দুর্গাপুরের অন্ততপক্ষে পাঁচটি বিগ বাজেটের পুজো প্রতিবারই জেলার সেরা পুজোর পুরস্কার আদায় করে নেয়। য়ার মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের দুর্গোৎসব ৷ যে পুজো এবার 56তম বর্ষে পদার্পণ করল। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের হাত ধরেই সূচনা হল এই পুজোর ৷
তামিলনাড়ুর রামানথস্বামী মন্দিরের আদলে হতে চলেছে দুর্গাপুরের অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের দুর্গাপুজো মণ্ডপের থিম। দর্শনার্থীদের মনে অন্য জায়গা করে নেবে বলেও আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। জেলার পুজো মণ্ডপগুলির মধ্যে অন্যতম অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ। এবার তা 56তম বর্ষে পদার্পণ করল। শনিবার দুপুরে খুঁটি পুজোর মাধ্যমে শুরু হল প্রস্তুতি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার-সহ দুর্গাপুর নগর নিগমের পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা।
প্রায় 35 লক্ষ টাকা ব্যয় করে হতে চলেছে এই পুজো মণ্ডপ। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, "এই পুজোমণ্ডপ দর্শনার্থীদের মনে অন্য জায়গা করে নেয়। এবারেও দর্শনার্থীদের মন জয় করে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে অন্যতম জায়গা করে নেবে। বেনাচিতি বাজারের সংকুলানস্থানে প্রত্যেকবার অভিনব থিমের পুজো উপহার দেয় অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ। এবার কাঁথির শিল্পীরা মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করবেন।"
আরও পড়ুন: 'সব থেকে বড় দুর্গা' এবার সুদূর দুবাইতে, যাচ্ছে কুমোরটুলি থেকে
মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হবে মৃণ্ময়ী মায়ের মূর্তি। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের হাত ধরেই এই পুজোর শুভ সূচনা হয়ে গেল বলা যায়। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, দুর্গাপুরের মানুষ উৎসব প্রিয়। যে কোনও উৎসবে দেখা যায় দুর্গাপুরের মানুষের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি ৷ উল্লেখ্য, রথযাত্রা থেকেই দুর্গাপুরে মূলত দুর্গাপুজোর জন্য দিন গোনা শুরু হয়ে যায়। অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজো এই জেলার অন্যতম সেরা আকর্ষণ ৷ দুর্গাপুরের অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ-সহ বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো দেখতে আশপাশের বিভিন্ন জেলার মানুষ এসে উপস্থিত হন। অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোক্তাদের দাবি, এবার তাঁদের থিম দেখতে মানুষের ঢল নামবে।
আরও পড়ুন: চলছে পুজোর প্রস্তুতি, বৃষ্টির জেরে প্লাস্টিকে ঢাকল কুমোরটুলি! ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য