ETV Bharat / state

B Tech Chaiwala: লকডাউন কেড়েছে কাজ, ইঞ্জিনিয়ার এখন বি-টেক চা-ওয়ালা - Paschim Bardhaman News

আসানসোল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে অণ্ডাল থানা পেরিয়ে বাঁ-দিকে তাকালেই চোখে পড়বে বি-টেক চা-ওয়ালার সাইনবোর্ড (Paschim Bardhaman News)৷ 6 রকমের চা পাওয়া যায় এখানে ৷ আর সেই চা বানাচ্ছেন খোদ ইঞ্জিনিয়ার ৷ কিন্তু হঠাৎ এই পেশায় এলেন কেন ?

ETV Bharat
বি টেক চাওয়ালা
author img

By

Published : Mar 1, 2023, 8:33 PM IST

বি টেক চাওয়ালার দোকান

দুর্গাপুর, 1 মার্চ: করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ লকডাউন কেড়েছে বহু মানুষের রুজিরুটি । ভিন রাজ্যে মোটা মাইনের বেসরকারি মোটর বাইক উৎপাদন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং পদের কাজ হারিয়ে বর্তমানে চায়ের দোকান খুলেছেন বি-টেক পাস যুবক (B Tech Cha wala at Paschim Bardhaman)৷ আসানসোল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে অণ্ডাল থানা পেরিয়ে বাঁ-দিকে তাকালেই দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই নজরে পড়বে বি-টেক চা-ওয়ালা সাইনবোর্ড ।

বছর 26 এর অশ্বিনী কুমারের পিতৃভূমি বিহারের বেগুসরাই । কিন্তু জন্মভূমি অণ্ডালের কাজোড়া । জন্ম থেকেই রয়েছেন এখানে । বাবা পেশায় ইট ব্যবসায়ী । বাড়িতে রয়েছেন মা, বাবা, দুই বোন ও এক ভাই । 2011 সালে কাজোড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন অশ্বিনী ৷ তারপরেই বীরভূমের শান্তিনিকেতনে স্কুল অফ ইনস্টিটিউট পলিটেকনিক থেকে কলেজ পাশ । 2016 পানাগড়ের আর্যভট্ট কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডিগ্রি অর্জন ।

এরপর 2019 সালে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি বাইক তৈরির কারখানায় সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজে যোগ দেন অশ্বিনী কুমার । এরপর 2020 লকডাউনে চাকরি হারিয়ে বাড়িতে ফেরেন ৷ ইঞ্জিনিয়ার অশ্বিনী কুমারের কথায়," কোনও কাজই ছোট নয় ৷ বাড়িতে বসে এই সময় মাথায় আসে একটু অন্যরকমভাবে ব্যবসা করার কথা । যা অন্যদের থেকে একটু হলেও আলাদা । আর তাই শুরু চা দোকান । বাড়িতেই ইউটিউব দেখে বিভিন্ন স্বাদের চা তৈরির প্রশিক্ষণ । শুরু হয় বাড়ির লোকেদের খাইয়ে হাতেখড়ি ৷ এরপর 26 জানুয়ারি থেকে দোকানে শুরু প্রায় 5 থেকে 6 রকম ভ্যারাইটি চা তৈরি ।"

দু'মাস যেতে না-যেতেই খ্য়াতি ছড়ায় বি-টেক চা-ওয়ালার ৷ জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে চা খেয়ে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারের হাতে । 10 থেকে 20 টাকা পর্যন্ত রয়েছে চায়ের দাম । এর মধ্যে চকোলেট চা, এলাচি চা, বাটার চা ও কেশর চা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে খনি এলাকায়। কেন বি-টেক ডিগ্রি থাকতে এত ভালো চাকরির সুযোগ থাকলেও চায়ের দোকান ? প্রশ্নের উত্তরে অবলীলায় অশ্বিনী জানায়, লকডাউনে চাকরি যায় ৷ তারপর কিছুদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম ছিল ৷ তবে তাতে কোনও মজা ছিল না । তাই মাথায় আসে অন্য কিছু করার । বাড়ির বড় ছেলে অশ্বিনী তার বাবাকে ব্যবসা করার কথা বলে ৷ প্রথমে বাবা কিছুটা ইতস্তত করলেও, ছেলের প্রতি বিশ্বাস বাবার মন কাড়ে । সবরকমভাবে সাহায্য করে বাবা । আর তাই আজকের বি-টেক চা-ওয়ালার সুন্দর এই দোকান ।

আরও পড়ুন : চায়ের চুমুকে সঙ্গী হোক বই, চলে যান বি-টেক চাওয়ালার পেয়ালায়

বি টেক চাওয়ালার দোকান

দুর্গাপুর, 1 মার্চ: করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ লকডাউন কেড়েছে বহু মানুষের রুজিরুটি । ভিন রাজ্যে মোটা মাইনের বেসরকারি মোটর বাইক উৎপাদন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং পদের কাজ হারিয়ে বর্তমানে চায়ের দোকান খুলেছেন বি-টেক পাস যুবক (B Tech Cha wala at Paschim Bardhaman)৷ আসানসোল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে অণ্ডাল থানা পেরিয়ে বাঁ-দিকে তাকালেই দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই নজরে পড়বে বি-টেক চা-ওয়ালা সাইনবোর্ড ।

বছর 26 এর অশ্বিনী কুমারের পিতৃভূমি বিহারের বেগুসরাই । কিন্তু জন্মভূমি অণ্ডালের কাজোড়া । জন্ম থেকেই রয়েছেন এখানে । বাবা পেশায় ইট ব্যবসায়ী । বাড়িতে রয়েছেন মা, বাবা, দুই বোন ও এক ভাই । 2011 সালে কাজোড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন অশ্বিনী ৷ তারপরেই বীরভূমের শান্তিনিকেতনে স্কুল অফ ইনস্টিটিউট পলিটেকনিক থেকে কলেজ পাশ । 2016 পানাগড়ের আর্যভট্ট কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডিগ্রি অর্জন ।

এরপর 2019 সালে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি বাইক তৈরির কারখানায় সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজে যোগ দেন অশ্বিনী কুমার । এরপর 2020 লকডাউনে চাকরি হারিয়ে বাড়িতে ফেরেন ৷ ইঞ্জিনিয়ার অশ্বিনী কুমারের কথায়," কোনও কাজই ছোট নয় ৷ বাড়িতে বসে এই সময় মাথায় আসে একটু অন্যরকমভাবে ব্যবসা করার কথা । যা অন্যদের থেকে একটু হলেও আলাদা । আর তাই শুরু চা দোকান । বাড়িতেই ইউটিউব দেখে বিভিন্ন স্বাদের চা তৈরির প্রশিক্ষণ । শুরু হয় বাড়ির লোকেদের খাইয়ে হাতেখড়ি ৷ এরপর 26 জানুয়ারি থেকে দোকানে শুরু প্রায় 5 থেকে 6 রকম ভ্যারাইটি চা তৈরি ।"

দু'মাস যেতে না-যেতেই খ্য়াতি ছড়ায় বি-টেক চা-ওয়ালার ৷ জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে চা খেয়ে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারের হাতে । 10 থেকে 20 টাকা পর্যন্ত রয়েছে চায়ের দাম । এর মধ্যে চকোলেট চা, এলাচি চা, বাটার চা ও কেশর চা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে খনি এলাকায়। কেন বি-টেক ডিগ্রি থাকতে এত ভালো চাকরির সুযোগ থাকলেও চায়ের দোকান ? প্রশ্নের উত্তরে অবলীলায় অশ্বিনী জানায়, লকডাউনে চাকরি যায় ৷ তারপর কিছুদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম ছিল ৷ তবে তাতে কোনও মজা ছিল না । তাই মাথায় আসে অন্য কিছু করার । বাড়ির বড় ছেলে অশ্বিনী তার বাবাকে ব্যবসা করার কথা বলে ৷ প্রথমে বাবা কিছুটা ইতস্তত করলেও, ছেলের প্রতি বিশ্বাস বাবার মন কাড়ে । সবরকমভাবে সাহায্য করে বাবা । আর তাই আজকের বি-টেক চা-ওয়ালার সুন্দর এই দোকান ।

আরও পড়ুন : চায়ের চুমুকে সঙ্গী হোক বই, চলে যান বি-টেক চাওয়ালার পেয়ালায়

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.