সালানপুর, 13 জানুয়ারি: আসানসোলে যুবতীর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ শুক্রবার রাতে বোলকুন্ডা গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সালানপুর থানার পুলিশ ৷ অভিযুক্ত লাল্টু চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে মিঠু রায় নামে ওই যুবতীর দাদা ৷ অভিযুক্ত পুলিশের সামনে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে খবর ৷ কিন্তু চাঞ্চল্যকরভাবে নিহত যুবতীর বাবা দামোদর রায় বলেন, "লাল্টু আমার মেয়েকে খুন করেনি। পুলিশ তাকে ফাঁসাচ্ছে ।" শনিবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে, লাল্টু চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, "আমিই খুন করেছি। কেন খুন করেছি তা পুলিশকে জানিয়েছি।"
পুলিশি জেরায় লাল্টু চট্টোপাধ্যায় জানায়, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই সে মিঠু রায়কে শ্বাস রোধ করে খুন করেছে । তদন্তে নেমে পুলিশ মিঠু রায়ের ফোন রেকর্ডও পরীক্ষা করেছে ৷ তা থেকে জানতে পারা গিয়েছে, ঘটনার দিন মিঠু লাল্টুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছিল ৷ সেই সূত্র থেকেই লাল্টুকে জেরা করা শুরু করে পুলিশ ৷
পুলিশ জেরায় অভিযুক্ত জানায়, বাড়ি থেকে পিকনিকে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েও সেখানে যাননি মিঠু। বোলকুন্ডা গ্রামে লাল্টু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই ছিলেন ৷ সেখানেই দু’জনের মধ্যে চরম অশান্তি হয় ৷ কথা কাটকাটি চলাকালীন তাঁকে শ্বাস রোধ করে খুন করেছে বলে পুলিশকে জানায় অভিযুক্ত লাল্টু ৷ এরপর প্রমাণ লোপাট করতে বেশি রাতে অটোয় করে মিঠুর দেহ বোলকুন্ডা গ্রামের একটি রাস্তায় ফেলে আসে ।
পরিবার সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার পিকনিক করতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মিঠু রায় ৷ এর দু'দিন পর বৃহস্পতিবার বোলকুন্ডা যাওয়ার রাস্তায় পাশে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ । ময়নাতদন্তে পুলিশ জানতে পারে শ্বাস রোধ করেই যুবতীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মিঠু রায়ের বাবার নাম দামোদর রায় ৷ গ্রামেরই এক ব্যক্তি লাল্টু চট্টোপাধ্যায়কে 'ভিক্ষাছেলে' পাতিয়ে ছিলেন তিনি । তাঁর সমস্ত সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্বও দিয়েছিলেন লাল্টু চট্টোপাধ্যায়কে ৷
যদিও মেয়ের খুনের ঘটনায় লাল্টু চট্টোপাধ্যায় জড়িত এমন কথা মানতে চাননি খোদ মেয়ের বাবা দামোদর রায়। তিনি জানিয়েছেন "আমার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে শ্মশানে যাওয়া-সব সময় আমাদের পাশে ছিল ভিক্ষাছেলে। সে আমার মেয়েকে কোনওভাবেই খুন করতে পারে না।" সালানপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত নিজেই স্বীকার করেছে খুনের ঘটনার কথা। তাকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: