আসানসোল, 8 মার্চ : স্বামী যে কবে ছেড়ে গিয়েছেন, তা সঠিক মনে নেই ৷ জঙ্গলপুরীতে তাঁর আপন বলতে কেউ নেই ৷ আসানসোল শহরের একপ্রান্তে ‘হত্যাপুরী’ এই জঙ্গলেই ঢাকেশ্বরী কটন মিলের স্মৃতি আঁকড়ে দিন গুজরান করেন বছর সত্তরের রেখা বোস (Rekha Bose aged seventy lives alone in a jungle in Asansol) ৷ ঢাকেশ্বরী কটন মিল চালু থাকাকালীন একদা গমগম করত যে জায়গা, সেই জায়গা আজ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৷ একসময় নিত্য স্বপ্নের ভাঙাগড়া হয়েছে যেখানে, সেখানে আজ হাহাকার ছাড়া কিছুই নেই ৷
তবে পোড়ো বাড়িতে দিব্যি রয়েছেন রেখাদেবী ৷ একা জঙ্গলপুরীতে থাকতে বুক কাঁপে না ? উত্তরে বছর সত্তরের প্রৌঢ়া জানাচ্ছেন, মা কালীই রক্ষা করেন তাঁর মেয়েকে ৷ তাঁর ভয়ের কিছুই নেই ৷ মুখের রেখায় স্পষ্ট হয়ে ওঠা বয়সের ছাপ নিয়ে প্রৌঢ়ার দাবি, তিনি সূর্যকুমার বসুর নাতনি ৷ একসময় প্রাইভেট টিউশন করলেও এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ছাত্র পড়ানোর ক্ষমতা হারিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Women's Day 2022: নারী দিবসে ভারতীয় ছবিতে নারী চরিত্রের বিবর্তন নিয়ে মতামত দিলেন নীনা-মাধুরী
ষাটের দশকে আর্থিক সংকটে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকেশ্বরী কটন মিল। কারখানা, যন্ত্রাংশ এমনকী আবাসনের ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা । ঢাকেশ্বরী কটন মিল জঙ্গলে পরিণত হলেও রেখা বোস রয়ে গিয়েছেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া আবাসনেই। সরকারের বিধবাভাতায় দিব্যি চলে যাচ্ছে দিন ৷ নারীদিবসে এই ঘটনা প্রেরণা জোগাতে পারে এমনই অনেক রেখাকে (Asansol old woman story may inspire many) ৷