আসানসোল, 1 ফেব্রুয়ারি: বেআইনি কয়লাকাণ্ডে (Coal Smuggling Case) 13 দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল রত্নেশ ভার্মাকে । মঙ্গলবার আসানসোল সিবিআই আদালতে নাটকীয়ভাবে আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ । মঙ্গলবার তাঁকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই আদালতের বিচারক । বুধবার তাঁকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পুনরায় তোলা হয় । এ দিন রত্নেশের কোনও আইনজীবী সশরীরে সিবিআই কোর্টে উপস্থিত ছিলেন না ।
সিবিআই 14 দিনের জন্য রত্নেশ ভার্মাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল । সেইমতো সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী রত্নেশ ভার্মার 13 দিন সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছে । আগামী 13 দিন ধরে রত্নেশ ভার্মাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই ।
এ দিন শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান যে, এই রত্নেশ ভার্মা বেআইনি কয়লা পরিবহণের বিষয়টি দেখতেন । তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন কয়লা খনির আধিকারিক ও অন্যান্যরা টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন । অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদে বেআইনি কয়লা পৌঁছে দেওয়াই ছিল রত্নেশের কাজ । কয়লা মাফিয়া যারা কয়লা পাচার করছে, তাদের বেআইনি পাচার ছাড়পত্র বা প্যাডের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বিভিন্ন থানা এলাকায় প্যাড নিয়ে লরির ব্যবস্থা করে দিয়ে বেআইনি কয়লা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনো ছিল রত্নেশের কাজ ।
আরও পড়ুন: কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকের অভিযোগ অভিষেকের
এছাড়াও রত্নেশ বিভিন্ন ইসিএল ও খনি আধিকারিক থেকে শুরু করে আরও অনেকের কাছে বেআইনি কয়লা সংক্রান্ত টাকা পৌঁছে দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে । অর্থাৎ রত্নেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এই কয়লা পাচারে আরও কারা কারা জড়িত ছিল কিংবা কারা কারা এই বেআইনি কারবার থেকে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন তা জানা যাবে ।
বুধবার শুনানি শেষে রত্নেশ ভার্মাকে 13 দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী । প্রসঙ্গত এই রত্নেশ ভার্মা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন । তাঁর বিরুদ্ধে ওপেন এন্ডেড ওয়ারেন্ট জারি করেছিল সিবিআই । শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার নাটকীয়ভাবে রত্নেশ ভার্মা আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ।