কুলটি, 25 অক্টোবর: অষ্টম ও একাদশ শতাব্দীর মন্দির সমূহ সংস্কারের উদ্যোগ নিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ৷ বুধবার বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বরাকরে সিদ্ধেশ্বর মন্দিরের সংস্কারের জন্য পরিদর্শন করে গেলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া আধিকারিক রাজেন্দ্র প্রসাদ যাদব । সঙ্গে ছিলেন কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার ।
এই উদ্যোগের বিষয়ে বিধায়ক অজয় পোদ্দার বলেন, "বরাকরে সিদ্ধেশ্বর মন্দির চত্ত্বরে মোট তিনটি মন্দির আছে । যার মধ্যে একটি অষ্টম শতাব্দীতে বানানো হয়েছিল ৷ বাকি দুটি একাদশ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল ।" সুপ্রাচীন এই মন্দিরগুলি সংস্কারের অভাবে বহুদিন পড়ে রয়েছে । মন্দির চত্ত্বরে ছিল প্রচুর প্রাচীন মূর্তি । যে মূর্তিগুলি ছোট ছোট বাচ্চা সচেতনতার অভাবে খেলতে গিয়ে ভেঙে ফেলেছে । পাশাপাশি মন্দির গাত্রে পেরেক পোঁতা ও আরও নানান কারণে মন্দিরগুলির কারুকাজগুলো নষ্ট হতে বসেছে । আবহাওয়ার জন্যও নষ্ট হয়েছে মন্দির ।
জানা গিয়েছে, শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরগুলি বেলে পাথর দিয়ে তৈরি । শুধু তাই নয়, ওড়িশার বেশ কিছু মন্দিরের সঙ্গে এই মন্দিরগুলি সাদৃশ্যও দেখতে পাওয়া যায় । কিন্তু সংস্কারের অভাবে মন্দিরগুলি জীর্ণ থেকে জীর্ণতর অবস্থা হতে শুরু করেছিল । আর তাই সংস্কারের প্রয়োজনে এবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা বরাকরে সিদ্ধেশ্বর মন্দির পরিদর্শন করলেন ৷ স্থানীয় বিধায়ক অজয় পোদ্দার জানান, মন্দির-সহ সংলগ্ন এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার সুব্যবস্থা নেই । এর ফলে বর্ষায় জল ঢুকে মন্দির সংলগ্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তাই উন্নত নিকাশীর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । পাশাপাশি সুপ্রাচীন মন্দিরগুলিকে পুনরুদ্ধারের জন্যে ও তার গৌরব ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনে মন্দিরগুলির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে ।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে সমীক্ষা শুরু করল এএসআই, মসজিদ চত্বরে কড়া নিরাপত্তা
তাঁর কথায়, "আগামী বছর মার্চের মধ্যেই মন্দিরের ভিতরের কাজ সেরে ফেলা হবে । একইসঙ্গে আগামিদিনে জেলাশাসক ও মেয়রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই অঞ্চলের নিকাশি ব্যবস্থার সমাধান করা হবে ।"