আসানসোল, 17 মার্চ: অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ায় ফলে শরীরে ভাইরাসের আক্রমণের ওষুধের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে ৷ যার ফলে রোগ নির্ধারণ হলেও কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক । এমনকি রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে । এমনই আশঙ্কার কথা শোনা গেল । শুক্রবার ক্লিনিক্যাল রিসার্চ এবং ক্লিনিক্যাল ডেটা ম্যানেজমেন্ট নিয়ে জাতীয় স্তরের একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোলের গুপ্তা কলেজ অফ টেকনোলজিক্যাল সাইন্সে (antibiotic molecular National seminar in Asansol)। পাশাপাশি জাতীয় স্তরে নতুন ওষুধের অনু বা মলিকিউল তৈরির ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ হচ্ছে তা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরেন দেশের বিভিন্ন সায়েন্স কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ।
এই কনফারেন্সের সাংগঠনিক সম্পাদক সোমশ্রী রায় জানান, বিভিন্ন রকম ড্রাগ মলিকিউল অসুখ সারায় । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই ওযুধ সেবনের ফলে ওষুধের প্রতিরোধ তৈরি হয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে ওষুধ কাজ করছে না । তখন নতুন ড্রাগ মলিকিউলের উন্নয়ন করতে হয় । নতুন ড্রাগ মলিকিউল কী পদ্ধতিতে হবে, কীভাবে তৈরি হবে সে সবই এই কনফারেন্সে আলোচিত হয়েছে । পোস্টারের মাধ্যমে নতুন ড্রাগ মলিকিউল তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : পড়া মুখস্থ হয়নি, ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পেটালেন গৃহশিক্ষিকা !
এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা শেখ মহম্মদ ইউনুস, আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস ।
নিখিল চন্দ্র দাস বক্তব্য রাখতে গিয়েই ওষুধ লেখা নিয়েই চিকিৎসকদের একহাত নেন । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "অনেক সময় আমরা দেখেছি রোগ নির্ধারণ হওয়ার পরেও রোগীকে বাঁচানো গেল না । বিভিন্ন বিভাগ এমনকি ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটেও আমরা দেখতে পাচ্ছি বহু রোগীকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু ওষুধ কাজ করছে না । সংক্রমণ কমানো যাচ্ছে না । এইসব ঘটনা কিন্তু বিপদ সংকেত দিচ্ছে । তাই আমাদের একদিকে যেমন দেখতে হবে, যে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক কী করে আবিষ্কার করা যায় ৷ ডাক্তারদের প্রবণতা আছে নতুন কোনও মলিকুল এলে তা চটজলদি প্রেসক্রিপশনে লিখে দেওয়া হচ্ছে মানুষ চটজলদি আরাম পেতে চায় । রোগের ক্ষেত্রে ইনভেস্টিগেশন করে সঠিক এন্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রবণতা আমাদের দেশে এখনো কম ।''