আসানসোল, 6 সেপ্টেম্বর: এক কার্যকর্তার নবজাতক ও তাঁর প্রসূতি স্ত্রী'কে দেখতে বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতাল এসেছিলেন অগ্নিমিত্রা পল। কিন্তু প্রসূতি ওয়ার্ডে ঢুকে চক্ষু ছানাবড়া আসানসোবল দক্ষিণের বিধায়িকার। সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রচুর বেড়াল। যা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়িকা । শুধু তাই নয়, প্রসূতি ওয়ার্ডের অপরিচ্ছন্ন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখেও তিনি গর্জে উঠেছেন। পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে চড়ে বেড়াচ্ছে গবাদি পশু, যত্রতত্র পার্কিং-সহ নানা অব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন অগ্নিমিত্রা পল।
বুধবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপির এক কার্যকর্তার নবজাতককে দেখতে তাঁর হাসপাতালে যাওয়া। কিন্তু প্রসূতি ওয়ার্ডে ঢুকতেই তাঁর চোখ ছানাবড়া। 10 থেকে 12টি বেড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রসূতি ওয়ার্ডে। পড়ে রয়েছে নানা আবর্জনা। অপরিষ্কার এবং অস্বাস্থ্যকর হয়ে রয়েছে প্রসূতি ওয়ার্ড। যখন তখন সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে অগ্নিমিত্রার দাবি। এছাড়াও হাসপাতালে গবাদি পশু ঘুরে বেড়াচ্ছে। টোটো এবং অটোর দখলে গোটা হাসপাতাল চত্বর চলে গিয়েছে।
যেখানে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো। অন্যান্য গাড়ি ঢোকার কোনও সুযোগ নেই। সব দেখেশুনে অগ্নিমিত্রা পল দাবি করেছেন, চরমতর অব্যবস্থা চলছে। শুধু তাই নয়, অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছেন প্যাথলজি বিভাগে গরিব মানুষদের জন্য রক্তের বা অন্যান্য পরীক্ষা হয় না। এছাড়াও হাসপাতালে যথেষ্ট নিরাপত্তারক্ষী ও সাফাই কর্মী নেই বলেও অগ্নিমিত্রা পল অভিযোগ করেছেন। প্রসূতি ওয়ার্ডে বেড়াল ঘুরে বেড়ানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস।
ইটিভি ভারতকে তিনি ফোনে বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পৌরনিগম এবং বনবিভাগের দ্বারস্থ হয়েছি। বেড়াল যেহেতু গৃহপালিত পশু, তাই বনবিভাগ তাদের নিয়ে যায়নি। অন্য কোনও দফতর থেকেও সহায়তা মেলেনি। বেড়াল নিয়ে আমরাও সমস্যায়। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের উপায় কী, তা আমাদের জানা নেই।" পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে গরুদের অবাধ বিচরণ নিয়ে সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানান, হাসপাতালের দু'টি গেটে তাহলে নিরাপত্তা মোতায়েন করতে হয়। এত কর্মী তাঁদের কাছে নেই।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে অমিল স্যালাইন, রোগীকে বাঁচাতে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে চড়া দামে