দুর্গাপুর, 1 ডিসেম্বর: কৃষি জমির উপর তৈরি হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ ৷ তার জেরেই নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না কোনও টাক্ট্রর ৷ এমনকী স্থানীয় শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার কৃষি জমির উপর তৈরি হওয়া এই বেআইনি নির্মাণ ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ৷ এই নির্মাণের প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীরা (agitation breaks out in protest of illegal construction) ৷
প্রোমোটারের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ । বেআইনি নির্মাণের জেরেই সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী ৷ একাধিবার বিষয়টি আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও দুর্গাপুর নগর নিগমকেও বিষয়টি জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি, অভিযোগ এলাকাবাসীর ৷ এই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে চলতি মাসের 18 তারিখ আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখান ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন ৷ কিন্তু কাজ না-হওয়ায় বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গোপালমাঠের সামনে গণ অবস্থানে বসেন স্থানীয়রা । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করে দিতে হবে ৷ এই দাবিতে ঐ প্রোমোটারের অফিসের সামনে আন্দোলনে সামিল হন ক্ষতিগ্রস্থরা । এলাকাবাসীর অভিযোগ কোনও প্রভাবশালীর মদতে ওই প্রমোটার বেআইনি নির্মাণ করছেন ৷
আরও পড়ুন: পুকুর বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ, ‘টক টু মেয়রে’ জানিয়েও হয়নি সুরাহা
গ্রামবাসীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিপিআইএম নেতা হারাধন সাঁই ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কেনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন প্রোমোটাররা সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না, আন্দোলনকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যতদূর যেতে হয় ততদূর যাব ৷’’ তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে জেলা বিজেপি নেতা অভিজিত দত্ত ৷ সব মিলিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের আন্দোলনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকাতে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, কিন্তু আন্দোলন মঞ্চ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন ঘোষণা করে দেন দাবি না মানা পর্যন্ত জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের ধারে তাঁরা সাত দিন অবস্থানে বসে থাকবেন তাঁরা।