ETV Bharat / state

পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে মাছ চাষ প্রকল্পের কথা ভাবছে প্রশাসন

পরিত্যক্ত কয়লার খনিতে মাছ চাষ প্রকল্পের কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন ৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, "মূলত বিকল্প কর্মস্থানের লক্ষ্য নিয়েই জেলা প্রশাসন ভাবছে । পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে যদি মাছ চাষ করা যায় সেজন্যই আজ খনিগুলি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক ৷

abandoned coal mines
পরিত্যক্ত জলাশয় পরিদর্শন
author img

By

Published : Dec 22, 2019, 9:05 AM IST


সালানপুর, 21 ডিসেম্বর : কয়লার খনিতে কয়লাকাটা হয়ে গেলে সেই অংশটিকে ECL ভরাট না করেই ফেলে রেখে দেয় । আর তা থেকেই তৈরি হয় বিরাট আকারের জলাশয় । এবার এই জলাশয়ে মাছ চাষ প্রকল্পের কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন ৷ আজ সকালে সালানপুর ব্লকের সংগ্রামগড় ও সামদি এলাকার চারটি পরিত্যক্ত খনি পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠি ৷ ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক খরশিদ আলি কাদরি ও সালানপুরের BDO তপন সরকার ৷

অতীতে এই সমস্ত পরিত্যক্ত খনিতে পানীয় জলের প্রকল্প করা হয়েছে । বাম আমলে সালানপুরের মুক্তাইচণ্ডি ও ইটাপাড়ার পরিত্যক্ত খনিতে দুটি পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল ৷ সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে মাছ চাষও করে এলাকার বাসিন্দারা । তবে এবার এই পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনামাফিক মাছ চাষ করার কথা ভাবছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন । সেই কারণে আজ সালানপুর ব্লকের সংগ্রামগড় এবং সামদি এলাকার চারটি পরিত্যক্ত খনি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক ৷ অবিভক্ত বর্ধমান থাকাকালীন এরকম মাছ চাষের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও পরবর্তী কালে জেলা ভাগ এবং প্রশাসনিক রদবদলের ফলে অনেকাংশে সেই কাজ বাস্তবায়িত হয়নি ৷

প্রায় 10 বছরের বেশী সময় ধরে সালানপুরের সংগ্রামগড়ের পরিত্যক্ত খনিতে মাছ চাষ করে আসছে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা । 10জন মিলে একটি সমবায় তৈরি করে এই মাছ চাষ করছেন তাঁরা । প্রথম নিজেদের উদ্যোগেই মাছ চাষ করতেন । পরে সরকারের পক্ষ থেকেও তাঁদের সাহায্য করা হয় ৷ এই মাছ চাষের খবর শুনে আজ সেখানে যান জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী । নৌকায় করে ওই পরিত্যক্ত খনির জলাশয় ঘুরে দেখেন তিনি । মাছ চাষের পদ্ধতি ও বাজারে চাহিদা নিয়েও কথা বলেন মৎস্যজীবীর সঙ্গে । এরপরই মাছ চাষ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব এমন বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত খনি ঘুরে দেখেন জেলা শাসক সহ তার প্রতিনিধি দল । অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, "মূলত বিকল্প কর্মস্থানের লক্ষ্য নিয়েই জেলা প্রশাসন ভাবছে । পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে যদি মাছ চাষ করা যায়, সেজন্যই আজ জেলা শাসক পরিদর্শন করেন ৷"


সালানপুর, 21 ডিসেম্বর : কয়লার খনিতে কয়লাকাটা হয়ে গেলে সেই অংশটিকে ECL ভরাট না করেই ফেলে রেখে দেয় । আর তা থেকেই তৈরি হয় বিরাট আকারের জলাশয় । এবার এই জলাশয়ে মাছ চাষ প্রকল্পের কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন ৷ আজ সকালে সালানপুর ব্লকের সংগ্রামগড় ও সামদি এলাকার চারটি পরিত্যক্ত খনি পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠি ৷ ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক খরশিদ আলি কাদরি ও সালানপুরের BDO তপন সরকার ৷

অতীতে এই সমস্ত পরিত্যক্ত খনিতে পানীয় জলের প্রকল্প করা হয়েছে । বাম আমলে সালানপুরের মুক্তাইচণ্ডি ও ইটাপাড়ার পরিত্যক্ত খনিতে দুটি পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল ৷ সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে মাছ চাষও করে এলাকার বাসিন্দারা । তবে এবার এই পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনামাফিক মাছ চাষ করার কথা ভাবছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন । সেই কারণে আজ সালানপুর ব্লকের সংগ্রামগড় এবং সামদি এলাকার চারটি পরিত্যক্ত খনি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক ৷ অবিভক্ত বর্ধমান থাকাকালীন এরকম মাছ চাষের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও পরবর্তী কালে জেলা ভাগ এবং প্রশাসনিক রদবদলের ফলে অনেকাংশে সেই কাজ বাস্তবায়িত হয়নি ৷

প্রায় 10 বছরের বেশী সময় ধরে সালানপুরের সংগ্রামগড়ের পরিত্যক্ত খনিতে মাছ চাষ করে আসছে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা । 10জন মিলে একটি সমবায় তৈরি করে এই মাছ চাষ করছেন তাঁরা । প্রথম নিজেদের উদ্যোগেই মাছ চাষ করতেন । পরে সরকারের পক্ষ থেকেও তাঁদের সাহায্য করা হয় ৷ এই মাছ চাষের খবর শুনে আজ সেখানে যান জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী । নৌকায় করে ওই পরিত্যক্ত খনির জলাশয় ঘুরে দেখেন তিনি । মাছ চাষের পদ্ধতি ও বাজারে চাহিদা নিয়েও কথা বলেন মৎস্যজীবীর সঙ্গে । এরপরই মাছ চাষ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব এমন বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত খনি ঘুরে দেখেন জেলা শাসক সহ তার প্রতিনিধি দল । অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, "মূলত বিকল্প কর্মস্থানের লক্ষ্য নিয়েই জেলা প্রশাসন ভাবছে । পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে যদি মাছ চাষ করা যায়, সেজন্যই আজ জেলা শাসক পরিদর্শন করেন ৷"

Intro:সালানপুরঃ বিভিন্ন খোলামুখ খনিতে কয়লাকাটা হয়ে গেলে সেই অংশটিকে ইসিএল ভরাট না করেই ফেলে রেখে দেয়। আর তা থেকে বিরাট আকারের জলাশয় তৈরি হয়। অতীতে এই জলাশয় থেকে পানীয় জলের প্রকল্প করা হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে মাছ চাষও করে এলাকার বাসিন্দারা। এবার এই খোলামুখ খনিগুলিতে সঠিক পরিকল্পনামাফিক মাছ চাষ করার কথা ভাবছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আর সেই কারণে আজ সালানপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি খনি পরিদর্শন করেন জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠী। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরি, সালানপুরের বিডিও তপন সরকার।Body:গত প্রায় ১০ বছরের বেশী সময় ধরে সালানপুরের সংগ্রামগড় খোলামুখ খনিতে মাছ চাষ করে আসছে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। ১০ জন মিলে একটি সমবায় তৈরি করে এই মাছ চাষ করছে তারা। প্রথম প্রথম নিজেদের উদ্যোগেই মাছ চাষ করত তারা। পরে সরকারী ভাবেও তাদের মাছ দিয়ে সহায়তা করা হয়। এই মাছ চাষের খবর শুনে আজ প্রথমে সেখানেই যান জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠী। নিজে নৌকায় করে ওই পরিত্যক্ত খনির জলাশয় ঘুরে দেখেন। মাছ চাষের পদ্ধতি ও মার্কেটে চাহিদা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপর এরকম মাছ চাষের সম্ভাবনা আছে এমন বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত খনি ঘুরে দেখেন জেলা শাসক সহ তার প্রতিনিধি দল।Conclusion:অতিরিক্ত জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান, মূলত বিকল্প কর্মস্থানের লক্ষ্য নিয়েই জেলা প্রশাসন ভাবছে। সেই কারণে খোলামুখ পরিত্যক্ত খনিগুলিতে মাছ চাষ যদি করা যায়, সেবিষয়েই জেলা শাসক পরিদর্শন করে গেলেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.