সালানপুর, 21 ডিসেম্বর : কয়লার খনিতে কয়লাকাটা হয়ে গেলে সেই অংশটিকে ECL ভরাট না করেই ফেলে রেখে দেয় । আর তা থেকেই তৈরি হয় বিরাট আকারের জলাশয় । এবার এই জলাশয়ে মাছ চাষ প্রকল্পের কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন ৷ আজ সকালে সালানপুর ব্লকের সংগ্রামগড় ও সামদি এলাকার চারটি পরিত্যক্ত খনি পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠি ৷ ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক খরশিদ আলি কাদরি ও সালানপুরের BDO তপন সরকার ৷
অতীতে এই সমস্ত পরিত্যক্ত খনিতে পানীয় জলের প্রকল্প করা হয়েছে । বাম আমলে সালানপুরের মুক্তাইচণ্ডি ও ইটাপাড়ার পরিত্যক্ত খনিতে দুটি পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল ৷ সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে মাছ চাষও করে এলাকার বাসিন্দারা । তবে এবার এই পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনামাফিক মাছ চাষ করার কথা ভাবছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন । সেই কারণে আজ সালানপুর ব্লকের সংগ্রামগড় এবং সামদি এলাকার চারটি পরিত্যক্ত খনি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক ৷ অবিভক্ত বর্ধমান থাকাকালীন এরকম মাছ চাষের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও পরবর্তী কালে জেলা ভাগ এবং প্রশাসনিক রদবদলের ফলে অনেকাংশে সেই কাজ বাস্তবায়িত হয়নি ৷
প্রায় 10 বছরের বেশী সময় ধরে সালানপুরের সংগ্রামগড়ের পরিত্যক্ত খনিতে মাছ চাষ করে আসছে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা । 10জন মিলে একটি সমবায় তৈরি করে এই মাছ চাষ করছেন তাঁরা । প্রথম নিজেদের উদ্যোগেই মাছ চাষ করতেন । পরে সরকারের পক্ষ থেকেও তাঁদের সাহায্য করা হয় ৷ এই মাছ চাষের খবর শুনে আজ সেখানে যান জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী । নৌকায় করে ওই পরিত্যক্ত খনির জলাশয় ঘুরে দেখেন তিনি । মাছ চাষের পদ্ধতি ও বাজারে চাহিদা নিয়েও কথা বলেন মৎস্যজীবীর সঙ্গে । এরপরই মাছ চাষ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব এমন বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত খনি ঘুরে দেখেন জেলা শাসক সহ তার প্রতিনিধি দল । অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, "মূলত বিকল্প কর্মস্থানের লক্ষ্য নিয়েই জেলা প্রশাসন ভাবছে । পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কাজে লাগিয়ে যদি মাছ চাষ করা যায়, সেজন্যই আজ জেলা শাসক পরিদর্শন করেন ৷"