দুর্গাপুর, 25 সেপ্টেম্বর: অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু । ছোট পর্দা, বড় পর্দা মিলিয়ে যাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে কবেই । পরবর্তী কালে হঠাৎ তাঁর রাজনীতিতে আগমন । শাসকদলের সমালোচনা করতেও একদিন যিনি পিছিয়ে যাননি, হঠাৎ করে সেই সায়নী ঘোষকেই দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে (Saayoni Ghosh with ETV Bharat) ।
শাসক দলে যোগ দেওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই তাঁকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্যের সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হল । তার আগে এই পদের দায়িত্ব সামলাতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থীও করা হয় তাঁকে । যদিও পরাজিত হন সায়নী ঘোষ । কিন্তু তাঁর পরিণত রাজনৈতিক বক্তব্য, জনমানসের সঙ্গে তাঁর মিশে যাওয়া দেখেই দলের পক্ষ থেকে তাঁকে শুধু এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নয়, ভিন রাজ্য বহুবার জনসংযোগের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় । দুর্গাপুরে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতায় আসেন তিনি । ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে সায়নী ঘোষ তাঁর সাম্প্রতিক অভিনয় জীবন এবং রাজনৈতিক জীবন নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠলেন ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে থাকাকালীন সংগঠনকে ঘুণের মতো শেষ করেছে 'গদ্দার' অধিকারী, শুভেন্দুকে তোপ সায়নীর
অভিনয় তিনি এখনও ছাড়েননি ৷ সাম্প্রতিককালের বাংলা ছবি অপরাজিত-তে তিনি অভিনয় করেছেন । তবে সায়নী ঘোষের স্পষ্ট দাবি, অভিনয় করার জন্য মন-মানসিকতার প্রয়োজন কারণ তা না হলে দর্শকদের ঠকানো হয় । আবার রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালন না করে তাঁকেও ঠকাতে পারবেন না ।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর 2024-এর বিরাট লড়াই । যুব ব্রিগেডকে প্রস্তুত রাখার জন্য সায়নী ঘোষ রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম ছুটে বেড়াচ্ছেন । অত্যন্ত সুবক্তা সায়নী ঘোষ সিবিআই ও ইডি-এর জোড়া আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, "মানুষ সবটা বোঝেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাদা শাড়িতে কালো দাগ লাগানোর একটা চেষ্টা চালানো হচ্ছে । কিন্তু পারবে না ।"
সাম্প্রতিককালে একটি রিপোর্টের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, বিজেপি বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল নেতারা যাঁদের বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআই-কে ব্যবহার করা হচ্ছে । এর থেকে বোঝা যাচ্ছে কারা সঠিক বিরোধিতা করছে ।
আরও পড়ুন: মা সারদা-রাসমণি তকমার পর এবার সায়নীর চোখে মুখ্যমন্ত্রী দেবী অন্নপূর্ণা
সায়নী ঘোষ অকপটে জানান, খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে । কিছুটা বুদ্ধি দিয়ে আর কিছুটা শক্তি দিয়ে । খেলা কিন্তু চলছে । ভিন রাজ্যে গিয়ে সেই রাজ্যের মানুষদের অনেকের মুখেই সায়নী ঘোষ শুনেছেন, 'দেশকা নেত্রী ক্যায়সা হো/মমতা ব্যানার্জি য্যায়সা হো ।' সায়নী ঘোষের স্পষ্ট দাবি, এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের কাছে প্রধান মুখ ।
তিনি স্পষ্ট বলেন, "একসময় আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেছিলাম । কিন্তু পরে দেখলাম একজন মহিলা একাই লড়াই করে চলেছেন । ভেবে দেখলাম আমাদের প্রধান শত্রু ভারতীয় জনতা পার্টি ।"