আসানসোল, 1 এপ্রিল : ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, অসম ও বিহার থেকে ধর্মপ্রচারে আসা 33 জনকে তিনটি মসজিদের মধ্যে কোয়ারান্টাইনে রাখল আসানসোলের জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এদের সঙ্গে দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনের ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা হচ্ছে পুরো ট্র্যাভেল হিস্ট্রি । এখনও পর্যন্ত এই 33 জনের শরীরে কোরোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি ।
আসানসোল পৌরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানা গেছে, এদের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে 11 জন এসেছিলেন । তাঁরা আসানসোল, বার্ণপুর, পুরুলিয়া সহ নানা জায়গায় ঘুরে ধর্মপ্রচার করেন । শেষে 31 মার্চ আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় আসেন । বাংলাদেশ থেকে 19 জন সরাসরি আসানসোলে এসেছিলেন । এছাড়াও অসম ও বিহার থেকে ছিলেন তিনজন ।
বিষয়টি জানার পরই পুলিশ এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজন গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। পাশাপাশি তাঁদের তিনটি মসজিদের মধ্যে আলাদা আলাদাভাবে কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। দিল্লির নিজ়ামউদ্দিন এলাকার মসজিদে তাবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠান ও কোরোনা সংক্রমণ নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্ক । এই পরিস্থিতিতে এই 33 জনকে নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে । এই ৩৩ জন কোনওভাবে ওখানকার অনুষ্ঠানে যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
আসানসোল পৌরনিগমের মেডিকেল অফিসার শামিম আলমের জানান, এই 33 জনকে তিনটি মসজিদের মধ্যে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। মসজিদের বাইরে কফ-থুতু ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। মসজিদের মধ্যে একে অন্যের সঙ্গে অন্তত ৪ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি, বারবার হাত ধোয়া ও সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত ১৪ দিন এখানেই থাকতেই হবে তাঁদের । পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মসজিদ ছেড়ে কোথাও বের হতে পারবেন না ।