ETV Bharat / state

Tripura Tribal Development: ত্রিপুরায় আদিবাসী উন্নয়ন ও সংস্কৃতি রক্ষায় 100 কোটি টাকা খরচ করবে সরকার - মানিক সাহা

ত্রিপুরায় দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি সরকার ৷ সেখানকার আদিবাসীদের সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার 100 কোটি টাকা খরচ করবে বলে জানালেন আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ৷ সেই উদ্দেশ্যে তৈরি হচ্ছে 'ট্রাইবাল রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার' ৷

Tripura
ত্রিপুরা
author img

By

Published : Apr 20, 2023, 3:49 PM IST

আগরতলা, 20 এপ্রিল: দেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা ৷ এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের বসবাস ৷ সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্যের মসনদে ফিরেছে বিজেপি সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা ৷ তাঁর নেতৃত্বে ত্রিপুরা সরকার এবার আদিবাসী উন্নয়নে জোর দিতে চাইছে ৷ তেমনটাই জানালেন আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, "সরকার আদিবাসী গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের আদিবাসীদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য প্রায় 100 কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ভাবছে ।"

বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, "মোহনপুর মহকুমার লেম্বুচেরায় প্রায় 10 একর জমির উপর একটি নতুন আদিবাসী গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে ৷ জাদুঘর, লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং 19 টি উপজাতির জন্য ছোট ঘর নির্মাণ করা হবে সেখানে ৷" সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ট্রাইবাল রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ৷

এদিন বিকাশ দেববর্মা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷ এতে তাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক স্তরের উন্নতি হবে ৷ এর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৷ সেই অর্থ কৃষি, উদ্যানপালন, পশুপালন, মৎস্য ও রাবার চাষে বিনিয়োগ করা হবে ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যের 12টি ব্লকে শিক্ষা, যোগাযোগ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হবে ৷ এর জন্য ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড সাসটেনেবল সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট (টিআরইএসপি) নামে একটি প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে ৷ এর ফলে প্রায় 75 হাজার পরিবার উপকৃত হবে ৷”

মন্ত্রী আরও জানান যে, বন অধিকার আইন বাস্তবায়নের ফলে, সরকার 1.31 লক্ষেরও বেশি পরিবারকে পাট্টা প্রদান করতে পেরেছে ৷ আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, "21টি একলব্য মডেলের আবাসিক স্কুল স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম, স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন, কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ, জনজাতি হোস্টেলে সৌরশক্তিসম্পন্ন আলো চালু করা হয়েছে ৷" তিনি আরও জানান, রাজ্যে আদমশুমারি এবং পরিসংখ্যানের জন্য নোডাল বিভাগ হিসাবে কাজ করে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগ (ডিইএস) ৷ বর্তমানে রাজ্যের 4টি জেলায় এই অফিস রয়েছে এবং বাকি জেলাগুলিতেও অফিস খোলার পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷

আরও পড়ুন: দাবদাহে পুড়ছে ত্রিপুরা, রাজ্যে সরকারি স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত মানিকের

আগরতলা, 20 এপ্রিল: দেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা ৷ এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের বসবাস ৷ সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্যের মসনদে ফিরেছে বিজেপি সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা ৷ তাঁর নেতৃত্বে ত্রিপুরা সরকার এবার আদিবাসী উন্নয়নে জোর দিতে চাইছে ৷ তেমনটাই জানালেন আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, "সরকার আদিবাসী গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের আদিবাসীদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য প্রায় 100 কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ভাবছে ।"

বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, "মোহনপুর মহকুমার লেম্বুচেরায় প্রায় 10 একর জমির উপর একটি নতুন আদিবাসী গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে ৷ জাদুঘর, লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং 19 টি উপজাতির জন্য ছোট ঘর নির্মাণ করা হবে সেখানে ৷" সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ট্রাইবাল রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ৷

এদিন বিকাশ দেববর্মা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷ এতে তাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক স্তরের উন্নতি হবে ৷ এর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৷ সেই অর্থ কৃষি, উদ্যানপালন, পশুপালন, মৎস্য ও রাবার চাষে বিনিয়োগ করা হবে ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যের 12টি ব্লকে শিক্ষা, যোগাযোগ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হবে ৷ এর জন্য ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড সাসটেনেবল সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট (টিআরইএসপি) নামে একটি প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে ৷ এর ফলে প্রায় 75 হাজার পরিবার উপকৃত হবে ৷”

মন্ত্রী আরও জানান যে, বন অধিকার আইন বাস্তবায়নের ফলে, সরকার 1.31 লক্ষেরও বেশি পরিবারকে পাট্টা প্রদান করতে পেরেছে ৷ আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, "21টি একলব্য মডেলের আবাসিক স্কুল স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম, স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন, কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ, জনজাতি হোস্টেলে সৌরশক্তিসম্পন্ন আলো চালু করা হয়েছে ৷" তিনি আরও জানান, রাজ্যে আদমশুমারি এবং পরিসংখ্যানের জন্য নোডাল বিভাগ হিসাবে কাজ করে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগ (ডিইএস) ৷ বর্তমানে রাজ্যের 4টি জেলায় এই অফিস রয়েছে এবং বাকি জেলাগুলিতেও অফিস খোলার পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷

আরও পড়ুন: দাবদাহে পুড়ছে ত্রিপুরা, রাজ্যে সরকারি স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত মানিকের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.