আগরতলা, 20 এপ্রিল: ত্রিপুরায় শিল্প বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে অবদান বিগত বাম সরকারের ৷ দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এভাবেই বাম সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি রাজ্যের শিল্প ধ্বংস করার জন্য বামেদেরর দায়ী করেছেন৷
বোধজং নগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারে ডিএস গ্রুপের রাবার থ্রেড প্ল্যান্টের উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী কার্যত একহাত নিয়েছেন বামেদের ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এটা সত্যিই ভালো খবর যে, একের পর এক শিল্প বোধজং নগর শিল্প এলাকায় তাদের ইউনিট স্থাপন করতে আসছে ৷ যা আগে রাজ্যের কেউ ভাবতেও পারেনি। এর আগেও এমন অনেক ছোট শিল্প ইউনিট ছিল যেগুলি 'জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ' স্লোগান দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল ৷" মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের সুরে জানান, শিল্প কেন্দ্রগুলিতে রাজনীতি করে এ রাজ্য থেকে শিল্প গুটিয়ে মালিকরা অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছে ৷
মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষের সুরে জানান, আগের রাজ্য সরকার রাজ্যে শিল্পের বৃদ্ধির জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে যার জেরে মালিক-শ্রমিক কেউই এখানে আসেনা। তিনি বলেন, "2018 সালে বিজেপি সরকার আসার পর আমরা এই সমস্যার সমাধান করেছি। আমরা জানি সকলকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। আমি নতুন ইউনিট স্থাপনের জন্য ডিএস গ্রুপের মালিককে ধন্যবাদ জানাতে চাই।" তাঁর মতে, এই রাবারের সুতো বাংলাদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন ৷ পাশাপাশি এই থ্রেডের চাহিদা বুঝেই এই নতুন ইউনিটটি স্থাপনের জন্য 21 কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: আরবি ভাষায় বুঝতেন না অর্থ, বাংলায় কোরান অনুবাদ করলেন বিজ্ঞানের শিক্ষক
তিনি বলেন, "আগে রাজ্যে কোনও শিল্প ছিল না ৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার হালও খারাপ ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিকাশ হয়েছে।" তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মানুষ কল্পনাও করতে পারত না যে, রাবার থ্রেডের মতো জিনিস এই রাজ্যে তৈরি হতে পারে। তিনি বলাম, "কীভাবে রাবার ল্যাটেক্স থেকে থ্রেড তৈরি করে তা দেখে আমিও অবাক হয়েছি। এটি বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও রফতানি করা হবে ৷" ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গেও প্রতিযোগিতা হতে পারে বলেও মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷