কলকাতা, 6 অগস্ট : 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার অবসান ঘটিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ তার পর তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) একই সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরাতেও (Tripura) বামেদের হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা মাঝপথেই ভেস্তে যায় ৷ আর বিজেপির (BJP) বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) নেতৃত্বে সেখানে অবসান হয় বামফ্রন্ট সরকারের ৷
-
ত্রিপুরা: ভয় পেয়েছে বিজেপি। দলের সভাতেই স্বীকার করছে দুর্বলতা। আর টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে। pic.twitter.com/nBjzYwxlJP
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 6, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">ত্রিপুরা: ভয় পেয়েছে বিজেপি। দলের সভাতেই স্বীকার করছে দুর্বলতা। আর টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে। pic.twitter.com/nBjzYwxlJP
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 6, 2021ত্রিপুরা: ভয় পেয়েছে বিজেপি। দলের সভাতেই স্বীকার করছে দুর্বলতা। আর টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে। pic.twitter.com/nBjzYwxlJP
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 6, 2021
2018 সালে ক্ষমতায় আসা সেই বিপ্লব দেবের সরকারকে ত্রিপুরা থেকে উৎখাত করতে মরিয়া হয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) জিততে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি ৷ কিন্তু তাদের সফল হতে দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তাই তিনিই এখন বিজেপি বিরোধী হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মুখ ৷ আর এই গ্রহণযোগ্যতাকে হাতিয়ার করেই ত্রিপুরায় ঘাসফুল ফোটাতে নেমেছে মমতার দল ৷
আরও পড়ুন : Farmers Protest : পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ফের কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷ তার পর থেকেই ত্রিপুরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ৷ কারণ, এক সময় মুকুল ছিলেন তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ৷ তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন একাধিক বিধায়ক ৷ তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর তাঁরাই আবার গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যান ৷ তাই অনেকের ধারণা ছিল এবার ত্রিপুরা-বিজেপিতেও ভাঙন সময়ের অপেক্ষা ৷
-
ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠক। @abhishekaitc-এর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন তীব্র হবে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত। রাজ্যের সব শীর্ষনেতা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন। pic.twitter.com/LNW8rk5rUe
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠক। @abhishekaitc-এর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন তীব্র হবে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত। রাজ্যের সব শীর্ষনেতা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন। pic.twitter.com/LNW8rk5rUe
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠক। @abhishekaitc-এর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন তীব্র হবে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত। রাজ্যের সব শীর্ষনেতা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন। pic.twitter.com/LNW8rk5rUe
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021
কিন্তু সেই ধারণা এখনও সত্য হয়নি৷ আর ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মকাণ্ডে মুকুল রায়কে এখনও পর্যন্ত সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি ৷ তা সত্ত্বেও সেখানকার রাজনীতি সরগরম করে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এর জন্য দায়ী সেখানকার বিজেপি সরকারই ৷ কারণ, তারাই তৃণমূলকে সেখানে হইচই করার সুযোগ করে দিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Mallikarjun Kharge : সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের রাজ্যসভায় ঢুকতে বাধা, সরব বিরোধী দলনেতা
এখানে উল্লেখ করতেই হয় যে সম্প্রতি ত্রিপুরায় গিয়েছিল আইপ্যাকের (I-PAC) একটি দল ৷ কিন্তু কোভিডবিধির কারণ দেখিয়ে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থার সেই দলকে হোটেলে আটকে রাখা হয় ৷ যা নিয়ে হইচই শুরু করে তৃণমূল ৷ ত্রিপুরায় পৌঁছে যান দলের নেতারা ৷ হাজির হন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷
-
.@abhishekaitcর উপর হামলাকারীরা কেন গ্রেপ্তার হয়নি? ত্রিপুরায় পুলিশের কাছে জানতে চাইতে যাওয়ার পথেই বাধা। পুলিশ, RAF, মহিলা পুলিশ। তীব্র বাদানুবাদ। থানাকে বলে আসা হল, জবাব দিতেই হবে। দোষীদের ধরতে হবে। ত্রিপুরায় ব্যাপক সাড়া। মানুষ সমর্থন করছেন। pic.twitter.com/RbdFnGj1dK
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">.@abhishekaitcর উপর হামলাকারীরা কেন গ্রেপ্তার হয়নি? ত্রিপুরায় পুলিশের কাছে জানতে চাইতে যাওয়ার পথেই বাধা। পুলিশ, RAF, মহিলা পুলিশ। তীব্র বাদানুবাদ। থানাকে বলে আসা হল, জবাব দিতেই হবে। দোষীদের ধরতে হবে। ত্রিপুরায় ব্যাপক সাড়া। মানুষ সমর্থন করছেন। pic.twitter.com/RbdFnGj1dK
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021.@abhishekaitcর উপর হামলাকারীরা কেন গ্রেপ্তার হয়নি? ত্রিপুরায় পুলিশের কাছে জানতে চাইতে যাওয়ার পথেই বাধা। পুলিশ, RAF, মহিলা পুলিশ। তীব্র বাদানুবাদ। থানাকে বলে আসা হল, জবাব দিতেই হবে। দোষীদের ধরতে হবে। ত্রিপুরায় ব্যাপক সাড়া। মানুষ সমর্থন করছেন। pic.twitter.com/RbdFnGj1dK
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021
তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনাও ঘটে ৷ সেই হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল ৷ সেই আন্দোলনে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তো আছেনই ৷ কিন্তু নেতৃত্বে রয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), ছাত্র নেত্রী জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷ কুণাল ঘোষ কখনও সাংবাদিক বৈঠক করে, কখনও টুইটারে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন ৷
আরও পড়ুন : Tripura TMC : তেইশে ত্রিপুরা জয়ই লক্ষ্য তৃণমূলের, নজরে মহিলা-যুব ভোট
সামগ্রিক ভাবে তাই এখন থেকেই সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি ৷ 2023-এর মার্চে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ৷ হাতে এখনও দু’বছর সময় রয়েছে ৷ ততদিন যে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত রোজ চলতে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য ৷ কিন্তু সেই সংঘাতে কে জিতবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷
বিজেপি এবার বঙ্গের ভোট জিততে ‘আসল পরিবর্তন’-এর ডাক দিয়েছিল ৷ তারা বাংলায় পরিবর্তন আনতে পারেনি ৷ এখন দেখার ত্রিপুরায় তারা পরিবর্তন ঠেকাতে পারে কি না !
আরও পড়ুন : Tripura Politics : ত্রিপুরায় কংগ্রেস-বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়, আমল দিতে নারাজ গেরুয়া বাহিনী