করিমপুর, 25 নভেম্বর : লক্ষ্মীপুরের 39 নম্বর বুথে BJP-র পোলিং এজেন্টকে বসিয়ে আসার 10 মিনিটের মধ্যে বুথের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ । তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন করিমপুর উপনির্বাচনের BJP প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের । তিনি বলেন, "আমরা পুলিশকে অভিযোগ করেছি । তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বল পূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছি । আমরা পুলিশকে বলেছি ৷ তারা নিশ্চয় উদ্ধার করবে । এভাবে গণতন্ত্রের ভোট লুট করা যায় না ।" তিনি আরও বলেন, "ভোটের মধ্যে কখনও ধর্মকে আনা উচিত নয় ৷ মানুষ যাকে ইচ্ছে ভোট দেবেন ।"
রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনকে ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে 20 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । তারমধ্যে 10 কম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে । তা সত্ত্বেও কেন এ রকম পরিস্থিতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "10 কম্পানি বাহিনী মোতায়েন করাতে সব থেকে বেশি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পার্থবাবুরা । তাঁদের কথা, ভোট কেন নিরপেক্ষ হবে? মানুষ কেন ভোট দেবে ? ভোট তো আমরাই (তৃণমূল) লুট করে থাকি । ভোট মানুষের হয়ে আমরাই (তৃণমূল) দিয়ে থাকি ।" তিনি আরও বলেন, এই ভাবে গুন্ডামি চলতে পারে না ।
জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, রাজু মল্লিক নামে তৃণমূলের গুন্ডা রামনগরে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে । তাদের গ্রেপ্তারির জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছি । তিনি আরও বলেন, " সব থেকে বড় কথা মানুষ রায় দেবে । মানুষের ভোট ভয় দেখিয়ে বন্ধ করা যায় না । তা যদি হত তাহলে 2011 সালে বুদ্ধদেববাবুকে হারিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে পারতেন না । প্রশাসন ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে । কিন্তু মানুষ ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনেছিলেন । সেটা তৃণমূল কংগ্রেস ভুলে গেছে । তারা CPI(M)-এর ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছে । চাইছে ভোট লুট করতে ৷ ভোট লুট করা যাবে না । মমতা বিধান চলবে না ৷ সংবিধান -র জয় হবেই ।"