শান্তিপুর, 11 এপ্রিল: মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে বছর বাইশের দুই যুবক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ায় শান্তিপুর থানার বয়রা কুমলে গঙ্গার ঘাটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তলিয়ে যাওয়া দুই যুবকের দেহ উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম সুদীপ কর্মকার ও সুদীপ রায়।
জানা গিয়েছে, তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা এলাকার বাসিন্দা পাঁচ বন্ধু। মঙ্গলবার দুপুরে ঠিক করেন তাঁরা গঙ্গায় স্নান করতে যাবেন। সেই মত, পাঁচ বন্ধু বাইকে করে গঙ্গা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানা গিয়েছে, স্নান করতে নামার আগে বন্ধুরা মিলে মদ্যপান করেছিলেন । এরপর তাঁরা স্নানে নামেন । দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা জলে ছিলেন বলে জানিয়েছেন অপর এক বন্ধু। প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, "দীর্ঘক্ষণ স্নান করার ফলে দু'জনেই হাঁপিয়ে উঠেছিল। ফলে তারা তলিয়ে যায় ৷" সে সাঁতার না-জানায় জলে নামেননি। বাকি চারজন স্নান করছিলেন। তার মধ্যে তিন বন্ধু সাঁতার জানতেন না । চার জনের মধ্যে দু'জন পারে উঠে আসতে পারলেও, বাকি দুই বন্ধু তা পারেননি।
আরও পড়ুন: কুড়মি সমাজের সঙ্গে আলোচনায় রফাসূত্র বেরল না, আবার কি শুরু হবে আন্দোলন ?
দুই বন্ধু উঠছে না-দেখে এরপরই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন তাঁরা। চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ এসে খবর দেয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এসে নদীবক্ষে বাকি দুই যুবককে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। নামানো হয় ডুবুরিও। দুর্ঘটনার ঘটনায় শোকের কাতর পরিবার ।
সুদীপ কর্মকারের মা সাধনা কর্মকার বলেন, "আমরা হঠাৎ খবর পাই, আমার ছেলে গঙ্গায় স্নান করতে নেবেছিল। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই ঘটনাস্থলে এসে দেখি প্রচুর পুলিশ রয়েছে এবং প্রচুর মানুষজন।" একইভাবে পুরো বিষয়টি জানতে পারেন সুদীপ রায়ের মা রানু মণ্ডলও। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।