হাঁসখালি, 12 এপ্রিল: "যদি কেউ নাবালিকা হয়, বয়স 18 বছরের নিচে হয় তবে তার সম্মতিক্রমেও যৌন সম্পর্ক আইনের চোখে ধর্ষণ", হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে মৃত নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra on Hanskhali Rape Case) ৷ তাঁর সংযোজন, "আমি দলের সাংসদ হিসেবে বলতে চাই, আর আমি নিজেও এইসব ঘটনার প্রবল বিরোধী, তাই বলতে চাই, আর কেউ করুক না করুক আমি এই ঘটনা এক ইঞ্চিও বরদাস্ত করব না ৷"
হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "হাঁসখালিতে খুব খারাপ ঘটনা ঘটেছে । মেয়েটি মারা গিয়েছে 5 তারিখ, পুলিশ জেনেছে 10 তারিখে । এক্ষেত্রে আপনি ধর্ষণ বলবেন,নাকি অন্তঃসত্ত্বা বলবেন, নাকি প্রেমের সম্পর্ক বলবেন? সেটা খতিয়ে দেখেছেন কী ? আমি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছি ।" রাজনৈতিক মহলের মতে, মহুয়ার এদিনের মন্তব্য মমতার করা গতকালের মন্তব্য থেকে সম্পূর্ণই আলাদা ৷ তাই মহুয়ার এদিনের মন্তব্য ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে ।
আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আইন বিরোধী, মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
এদিন ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মহুয়া মৈত্র বলেন, "এটা উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ নয়, দুষ্কৃতীকারীদের যা শাস্তি হওয়ার পকসো আইনে তা হবেই । সরকারের গ্যারান্টি আমাদের গ্যারান্টি, দোষীকে শাস্তি দেওয়ার । সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিচ্ছে ৷ আমরা কোনওদিনই অপরাধীদের এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না ৷" মহুয়া এদিন জানান, ইতিমধ্যেই হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি-সহ তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তদন্ত চলছে ৷ পকসো আইনে মামলা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ৷ এদিন, এই বিষয়ে রাজনীতির প্রসঙ্গ টানা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন মহুয়া ৷ বলেন, "যে এই কাজ করেছে তার পরিচয় সে দুষ্কৃতী ৷ রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে, খুব শীঘ্রই সমস্ত দোষীরা ধরা পড়বে ৷"