শান্তিপুর, 18 মে : নারদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্য়ের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ক-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার নদিয়ার শান্তিপুরে প্রতিবাদে সামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ধৃতদের অবিলম্বে মুক্তি এবং রাজ্যপালের পদত্য়াগের দাবিতে সরব হলেন দলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যপালের মদতেই রাজ্য়ের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে ৷ এদিন শান্তিপুরে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের সদস্য ও সমর্থকরা ৷
উল্লেখ্য, সোমবারই নারদ কাণ্ডে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা হয় ৷ প্রথম নিম্ন আদালত তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করলেও পরে তাতে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার ৷ তাই আপাতত সিবিআইয়ের হেফাজতেই রয়েছেন চার হেভিওয়েট ৷
এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য়ের নানা অংশে ধর্না, অবরোধ শুরু করেছে তৃণমূল ৷ যা ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের ৷ কারণ,করোনা আবহে এমন অবস্থানে আরও বাড়বে সংক্রমণ ৷ যদিও তৃণমূল এই পরিস্থিতির জন্য পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকেই দায়ী করেছে ৷ শাসকদলের সাফ কথা, বিধানসভায় হেরে গিয়েই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির ৷ সেই কারণেই সিবিআইকে ব্যবহার করে রাজ্য়ের মন্ত্রী ও বিধায়কদের হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ আর এই কাজে কেন্দ্রকে সরাসরি মদত দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷
আরও পড়ুন : মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেফতারিতে প্রতিবাদের আগুন জ্বলল বাংলায়
এদিন তাই ধৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি রাজ্যপালের পদত্য়াগের দাবিতেও সরব হয়েছেন শান্তিপুরের তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা ৷ এদিন 34 নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় একঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ চলে অবরোধ ৷ এর জেরে কিছুক্ষণের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ ৷ তাদের মধ্যস্থতায় পরে অবরোধ তুলে নেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা ৷